শার্লিন ফারজানা ও তাঁর ছেলে ইয়াসিন এহসান।
শার্লিন ফারজানা ও তাঁর ছেলে ইয়াসিন এহসান।

মা হয়েছেন নায়িকা শার্লিন

দুই সপ্তাহের বেশি হতে চলল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। দর্শকের প্রশংসাও পাচ্ছেন ছবির অন্যতম চরিত্র নীরা। প্রথম ছবির মুক্তিতে যেখানে নায়ক-নায়িকাকে প্রচারে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়, সেখানে শার্লিন একেবারে উল্টো। একদম চুপচাপ। পরিচালক ও ছবির অন্য অভিনয়শিল্পীরা দর্শকদের সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে বিশেষ প্রদর্শনীতে থাকছেন, দর্শকদের সঙ্গে কথা বলছেন। কিন্তু কোথাও দেখা যাচ্ছিল না শার্লিনকে। অবশেষে জানালেন, মা হতে যাচ্ছেন বলে ছবির সব ধরনের প্রচার থেকে দূরে থাকতে হয়েছে তাঁকে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম আলোকে মা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শার্লিন নিজেই। তিনি জানান, ১ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মা ও ছেলে দুজনই ভালো আছেন।

শার্লিন ফারজানা ও তাঁর ছেলে ইয়াসিন এহসান।

একদিকে মা হওয়ার সংবাদ, অন্যদিকে দর্শকের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে নিজের অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘উনপঞ্চাশ বাতাস’—সব মিলিয়ে জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়টা পার করছেন বলে জানান শার্লিন। তিনি বলেন, ‘একজন নারীর জীবন সম্পূর্ণতা পায় মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়ার মধ্য দিয়ে। জীবনে এর চেয়ে সুন্দর উপলক্ষ আর কোনোটাই হতে পারে না। আমি সেই সুন্দর মুহূর্তটা পার করছি। নারীর জীবন পরিবার, কাজ, শিল্পসত্ত্বা—সবকিছু সমন্বয় করে চলতে পারার মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণতা অর্জন করে। আমি সেই সম্পূর্ণতার প্রথম ধাপে এসে পৌঁছেছি। এটি জীবনের এক অসাধারণ অনুভূতি। সবার কাছে আমাদের সন্তানের জন্য দোয়া চাই।’

শার্লিন ও এহসানুল হক

শার্লিনের বর এহসানুল হক পেশায় ব্যবসায়ী ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বাগদান আর ২৩ নভেম্বর বিয়ে করেন তাঁরা। দুটি অনুষ্ঠানে বর-কনের পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন। শার্লিন-এহসানুল দম্পতি তাঁদের সন্তানের নাম রেখেছেন ইয়াসিন এহসান।
২০০৮ সালে ‘ইউ গট দ্য লুক’ সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ী হয়ে বিনোদন অঙ্গনে পথচলা শুরু করেন শার্লিন ফারজানা। এরপর মডেল হিসেবেও পরিচিতি পান তিনি। অমিতাভ রেজা চৌধুরী ও গাজী শুভ্রর বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়ে রাতারাতি আলোচনায় চলে আসেন। এরপর তিনি কাজ শুরু করেন নাটকে। তবে মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ চলচ্চিত্রের অন্যতম চরিত্রে অভিনয় করে বেশি আলোচনায় আসেন এই তরুণ অভিনেত্রী।

শার্লিন ফারজানা ও এহসানুল হক