‘একজন শিল্পী হিসেবে আমি শুধু আমার সংলাপ বলেছি। সেটা কার মোবাইল ফোনের নম্বর, নম্বরটা সঠিক কি না, এটা আমার দেখার বিষয় নয়। তা আমার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। এটা আসলে ছবির প্রযোজক, পরিচালক আর স্ক্রিপ্ট রাইটারের ব্যাপার। এটা তাঁদের ওপর বর্তায়। আমার জায়গায় যদি অন্য কোনো হিরোর মুখ দিয়ে সংলাপটা যেত, তার তো কিছু করার ছিল না।’ বললেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের হোটেল রাজমনি ঈশা খাঁয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কথাগুলো বলেন তিনি।
‘রাজনীতি’ সিনেমার সংলাপে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের অটোরিকশার চালক ইজাজুল মিয়ার মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করায় চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ৫০ লাখ টাকার মানহানির মামলা করা হয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর ইজাজুল মিয়ার করা এই মামলায় ‘রাজনীতি’ সিনেমার পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস, প্রযোজক আশফাক আহমেদকেও অভিযুক্ত করা হয়।
শাকিব খান বলেন, ‘খবরটি শুনে আমি খুব হেসেছি। আমি তো তখন “চালবাজ” ছবির শুটিংয়ে কলকাতা ছিলাম। বিস্তারিত কিছু জানতাম না। দেশে এসে সব শুনলাম। এখনো আমি লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। এটা আদৌ কোনো মামলার গ্রাউন্ডে পড়ে কি না, তা-ও আমার জানা নেই।’
ইজাজুল মিয়া মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘রাজনীতি’ সিনেমার একটি অংশে (সিনেমার ২৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডর সময়) সংলাপ দিতে গিয়ে নায়িকা অপু বিশ্বাস বলেন, ‘এভাবে বারবার আর কোনো দিন চলে যেতে দেব না আমার স্বপ্নের রাজকুমার।’ জবাবে নায়ক শাকিব খান বলেন, ‘আমিও তোমাকে আর ছেড়ে যাব না আমার রাজকুমারী।’ অপু বিশ্বাস আবার বলেন, ‘আমার ফেসবুক আইডি যে “রাজকুমারী” তুমি তা জানলে কী করে?’ জবাবে শাকিব খান বলেন, ‘যেভাবে তুমি জানো, আমার মোবাইল নম্বর...।’ সিনেমায় ব্যবহৃত ফোন নম্বরের সঙ্গে কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের ইজাজুল মিয়ার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর। গত ৭ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই ইজাজুলের ফোনে ৪৩২ বার কল এসেছে। যারা সবাই শাকিবকে খুঁজেছে।
এদিকে হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শম্পা জাহান মামলাটি গ্রহণ করে ডিবি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ১৮ ডিসেম্বর।