আজ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিকী (২০১৫-২০১৬) নির্বাচন। এই নির্বাচনে একটি প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী শাকিব খান, অন্যটির আহমেদ শরীফ। দুই প্যানেলের দুই সভাপতি পদপ্রার্থীই বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
শাকিব খান বলেন, ‘বিগত দিনের মতো ভবিষ্যতেও চলচ্চিত্র স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সব আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে চাই। দুস্থ শিল্পীদের জন্য অনুদানের ব্যবস্থা থাকবে। শিল্পী সমাজকে একটা সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই।’ ছবির পাইরেসি বন্ধ করতে, হিন্দি, উর্দু ছবি প্রবেশের বিরুদ্ধে, এফডিসির উন্নয়ন করতে ও ভালো ছবি নির্মাণে শিল্পী সমাজ সব আন্দোলনের অগ্রভাগে থাকবে বলে জানান শাকিব খান।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আহমেদ শরীফও তাঁর প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে বলেন, ‘শিল্পী সমাজের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে তহবিল গঠন করা হবে। দুস্থ শিল্পীরা সহযোগিতা পাবেন। শিল্পীদের মেধাবী সন্তানদের পড়াশোনায় আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।’ আহমেদ শরীফ জানান, শিল্পীদের বছরে একবার বিশেষজ্ঞ দিয়ে বিনা মূল্যে কিডনি পরীক্ষা, চক্ষু বিশেষজ্ঞ দিয়ে দুই মাস অন্তর চোখের পরীক্ষাও করানো হবে। চলচ্চিত্রশিল্পকে সমৃদ্ধ করার জন্য প্রতিবছর সারা দেশ থেকে মেধাবী শিল্পী বাছাইয়ের প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হবে।
বিগত মেয়াদের শিল্পী সমিতির নেতৃত্বের প্রতিও অভিযোগ তুলে আহমেদ শরীফ বলেন, ‘গত সাড়ে তিন বছরে তাঁরা সমিতির কোনো সাধারণ সভা পর্যন্ত করেননি। তহবিলের কোনো হিসাব অডিটকৃতভাবে দেখাননি।’
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভিযোগ খণ্ডন করে আগের কমিটির সভাপতি এবং এবারও সভাপতি প্রার্থী শাকিব খান বলেন, ‘মাঝখানে দেশের অবস্থা ভালো ছিল না। ফলে সবকিছু গুছিয়ে এনে সঠিক সময়ে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বিগত সময়ে কী করেছি, তা শিল্পী সমাজই ভালো বলতে পারবে। কে হতে চায় কোটিপতি অনুষ্ঠান থেকে পাওয়া ২৫ লাখ টাকা সমিতির তহবিলে দিয়েছি। সব মিলিয়ে আমি প্রায় ৪৩ লাখ টাকার তহবিল তৈরি করেছি। সেখান থেকে দুস্থ শিল্পীদের তিনবার ঈদের ভাতাসহ অনেক শিল্পীর, শিল্পীর পরিবারের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেছি। আমার বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ করছেন, তাঁর চিকিৎসা বাবদও এক লাখ টাকা সমিতি দিয়েছে।’