‘আপনি আমাকে চেনেন? আই অ্যাম অনীক, দ্য সন অব অ্যাকট্রেস ববিতা ম্যাডাম’, ‘আচ্ছা, আমার আম্মুর সাথে আপনার পরিচয় বা দেখাসাক্ষাৎ হতো?’, ‘আমার রিয়াজ মামার সাথে আপনার কথা হয়? আম্মুর চাচাতো ভাই রিয়াজ আহমেদ সিদ্দিকী। আমি মোবাইল নাম্বার দিচ্ছি আপনাকে।’ ফেসবুকে এমন অনেক কথোপকথনের স্ক্রিনশট পাঠিয়েছেন দেশবরেণ্য অভিনয়শিল্পী ববিতা।
জানালেন, কানাডায় থাকা তাঁর একমাত্র সন্তান অনীককে নিয়ে ফেসবুকে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে একটি চক্র। চক্রটি অনীক ইসলাম নামের ফেসবুক আইডি থেকে ববিতার চেনা–পরিচিতদের কাছে প্রতারণার জাল পেতেছে। বিষয়টি নজরে এসেছে ববিতার। ফেসবুকে যারা এমনটা করছে, তাদের প্রতি ক্ষোভ, ঘৃণা প্রকাশ করেছেন দেশবরেণ্য এই অভিনয়শিল্পী।
কিছুদিন আগে ববিতার নাম ভাঙিয়ে ফেসবুকে এমন কাজ করত আরেকটি চক্র। বিষয়টি নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি শুরু হলে প্রতারক চক্র কিছুদিন চুপচাপ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ছেলেকে জড়িয়ে ফেসবুকে এমন অপকর্মের খবর জানতে পেরে বিস্মিত ও হতবাক হয়েছেন তিনি।
প্রথম আলোকে ক্ষুব্ধ ববিতা বললেন, ‘আমার ছেলে এসবের ধারেকাছেও নাই। ফেসবুকে তাঁর কোনো আইডি নেই। বিষয়টি টের পেয়ে ফেসবুক আইডি খুলে এমন প্রতারণার ফাঁদ যারা পেতেছে, তাদের প্রতি ঘৃণা জানাতেও ভীষণ লজ্জা লাগছে। অনীক ইসলাম নামের সেই আইডি থেকে চলচ্চিত্রশিল্পে আমার পরিচিত সবার কাছে নানা ধরনের কথা বলছে। পারিবারিক ছবিগুলো ইনবক্সে দিয়ে প্রমাণের চেষ্টা করছে, সে ববিতার সন্তান। কেউ কেউ বিশ্বাস করলেও অনেকে আমাকে ফোন করে নিশ্চিত হতে চায়। যখন শোনে এই অনীক আমার ছেলে নয়, সবাই তো অবাক। কারও কাছে নাকি আবার টাকাপয়সাও চাইছে!’
ক্ষুব্ধ ববিতা আরও বলেন, ‘আমি নিজেও কোনো দিন ফেসবুক ব্যবহার করিনি। অথচ প্রায়ই আমাকে শুনতে হয়, আপনি তো আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড। আপনার সঙ্গে মেসেঞ্জারে আলাপটা সেদিন ভালোই জমে উঠেছিল! শুনে তো আকাশ থেকে পড়ার অবস্থা। আমার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের এবং ঘরের দুর্লভ স্থিরচিত্রও ওই ফেসবুক থেকে প্রকাশ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, আমি নাকি দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় মেসেঞ্জারে কার কার কাছে টাকা চেয়েছি। পুরো বিষয়টি আমার জন্য ভীষণ অস্বস্তিকর। শুরুতে বিষয়গুলো খুব পাত্তা দিইনি, কিন্তু ছেলেকে নিয়ে যে বা যারা এমনটা করছে, আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছি।’
ববিতা জানালেন, যিনি বা যারা এখন এই ধরনের বাজে মানসিকতা নিয়ে কাজ করছে, তারা পরে রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী কোনো লেখা পোস্ট করে দিতেও দ্বিধা বোধ করবে না। পুরো ব্যাপারটি নিয়ে সত্যিই আমরা আতঙ্কিত। সবাইকে বলতে চাই, ‘আমাদের পরিবারের কেউই ফেসবুক ব্যবহার করি না। তাই এ ধরনের ফাঁদে কেউ পা দেবেন না, এমন আচরণ যারা করবে, তাদের বিশ্বাস করবেন না।’