স্বাধীন ধারার তরুণ নির্মাতাদের সহায়তা করতে কাজ করছে ঢাকা ডকল্যাব। প্রতিষ্ঠানটি তরুণদের তথ্যচিত্র নির্মাণে নানাভাবে সহায়তা করে। এ বছর আহ্বান করা তথ্যচিত্রের চিত্রনাট্য থেকে গতকাল সোমবার পাঁচটি প্রজেক্টকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে ঢাকা ডকল্যাব। পুরস্কার ঘোষণা করা তথ্যচিত্রের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তিনটি তথ্যচিত্র পুরস্কার পেয়েছে। একটি যৌথভাবে। বাকি তিনটি তথ্যচিত্রের প্রজেক্ট বিদেশি নির্মাতাদের।
দেশের তথ্যচিত্রের মধ্যে আহসাবুল ইয়ামিনের ‘স্রোতের গান’ পুরস্কার পাচ্ছে। যৌথভাবে পুরস্কার পাচ্ছে পিপলু আর খানের ‘নোম্যাডস অব দ্য নর্থ’ ও শারমিন দোজার ‘আ জার্নি নেভার টোল্ড’। তাঁরা উভয়েই তথ্যচিত্র নির্মাণে সহায়তা পাবেন। এই প্ল্যাটফর্ম গড়ে ওঠার সময় থেকেই অন্যতম লক্ষ্য ছিল, তরুণ নির্মাতাদের তথ্যচিত্র নির্মাণে উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি দেশের উঠতি ও ভবিষ্যৎ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের একটি সংযোগ গড়ে তোলা।
যে কারণে এখানে বিদেশি তথ্যচিত্র নির্মাতারাও চিত্রনাট্য জমা দিতে পারেন। একসঙ্গে কাজ করারও সুযোগ রয়েছে। বিদেশি তথ্যচিত্রের মধ্যে রয়েছে ইরানের ‘সাউন্ড ফ্রম দ্য পাস্ট’। প্রজেক্টটি দেড় লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা পাবে। এটি নির্মাণ করবেন আইয়ুব নাসেরি। ফিলিপাইনের নির্মাতা জোস লোমাহান নির্মাণ করবেন ‘আ ফেইথফুল লাভ’ তথ্যচিত্র। এর জন্য তিনি পাবেন ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। একই পরিমাণ অর্থসহায়তা পাবে ভারতের অঙ্কিতা উপাধ্যায়ের চিত্রনাট্য ‘আই ফেয়ার মাই টুমরো’। জানা যায়, উৎসাহ জোগাতেই ঢাকা ডকল্যাব কাজ করছে।
‘আ জার্নি নেভার টোল্ড’–এর পরিচালক শারমিন দোজা বলেন, ‘আমরা প্রজেক্ট জমা দিয়েছিলাম। পিচ করার সুযোগ পাওয়ার পর সেটা নিয়ে ধাপে ধাপে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি। কেন, কীভাবে আমাদের এই গল্প বলা বা উপস্থাপন করব, সেটা বোঝাতে হয়েছে।’
পুরস্কারজয়ীদের মধ্যে আহসাবুল ইয়ামিন জানান, তাঁর তথ্যচিত্রটি ২০২২ সালে সিলেটে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বন্যা নিয়ে তৈরি হচ্ছে। মাটি ও মানুষের কাছাকাছি গল্প বলতে এই পুরস্কার তাঁকে সব সময় নতুনভাবে অনুপ্রাণিত করবে।
কানাডা, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, ভারত, লিথুয়ানিয়া, চীন, জাপানের নির্মাতা ও তথ্যচিত্র নির্মাণসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ঢাকা ডকল্যাবের পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশের স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নানা ধরনের প্রণোদনা ও সহযোগিতা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৭ সাল থেকে তথ্যচিত্রকে সহায়তা দিচ্ছে ঢাকা ডকল্যাব।