অভিনেত্রী পরীমনিকে মিষ্টিমুখ করালেন টেলিভিশন নির্দেশক অরণ্য আনোয়ার। দীর্ঘদিনের লালন করা তাঁর একটা গল্পে মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করতে রাজি হয়েছেন পরীমনি। এ কারণেই মিষ্টিমুখ। এটাই হবে অরণ্য আনোয়ারের প্রথম সিনেমা।
নব্বইয়ের দশকে টেলিভিশন সিরিজ ‘নুরুল হুদা’ পরিচালনা করে আলোচনায় আসেন অরণ্য আনোয়ার। ‘নুরুল হুদা একদা ভালোবেসেছিল’, ‘অতঃপর নুরুল হুদা’, ‘আমাদের নুরুল হুদা’ তাঁকে খ্যাতি এনে দেয়। পরে বহু একক ও ধারাবাহিক নাটক বানিয়েছেন এই নির্মাতা। এবারই প্রথম সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন অরণ্য আনোয়ার। আর তাঁর প্রথম সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন পরীমনি।
অরণ্য আনোয়ারের সিনেমার নাম ‘মা’। ১৯৭১ সালে সাত মাসের মৃত সন্তানকে নিয়ে অসহায় এক মায়ের করুণ সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমাটির চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন তিনি। সেই মায়ের চরিত্রই করবেন পরীমণি। গত বুধবার রাতে অভিনেত্রী–পরিচালক সমঝোতায় পৌঁছেছেন। অরণ্য আনোয়ার বলেন, ‘গল্পটি আমি ও আমার বন্ধু পুলককান্তি বড়ুয়া দীর্ঘ সময় ধরে নিজেদের মধ্যে লালন করছি। সিনেমা তো বানালেই হবে না, দরকার যোগ্য পাত্র-পাত্রী। আমি শুরু থেকেই মায়ের চরিত্রটি নিয়ে বেশ সচেতন ছিলাম। গল্পটি পরীকে শোনালাম। দ্বিধা ছিল, মায়ের চরিত্রে পর্দায় হাজির হতে সে রাজি হবে কি না। কারণ, এ রকম চরিত্রের ব্যাপারে আমাদের নায়ক-নায়িকাদের মধ্যে একটা ট্যাবু রয়েছে। কিন্তু গল্পটি শোনার পর পরী যেভাবে গ্রহণ করল, তাতে আমি বিস্মিত ও মুগ্ধ। এ রকম একজন অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে প্রথম সিনেমা করতে পারছি বলে ভালো লাগছে।’ জানুয়ারি মাস থেকে ছবির শুটিং শুরু করবেন অরণ্য আনোয়ার।
এই পরিচালকের ছবিতে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, ‘যখন শুনি কোনো নির্মাতা প্রথমবার ছবি নির্মাণ করতে চাইছেন, খুব ভালো লাগে। আমি সব সময় এমন নির্মাতাদের পাশে থাকতে চাই। আর অরণ্য আনোয়ারকে তো চিনি যখন আমি টিভি নাটকের দর্শক, তখন থেকেই। ফলে তাঁর প্রতি আগে থেকেই আমার একটা মুগ্ধতা ছিল। এগুলোও বিষয় নয়, দিন শেষে মূল বিষয় গল্পের শক্তি। সেই শক্তি আমি এই চিত্রনাট্যে পেয়েছি। এমন চরিত্রে আমি আর কাজ করিনি। আমার তো মা নেই, এবার সেই মায়ের চরিত্রে অভিনয় করব। আশা করছি, নিজেকে ভাঙতে পারব।’
‘মা’ ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছেন পুলককান্তি বড়ুয়া ও অরণ্য আনোয়ার। শিগগির ছবির বাকি কলাকুশলীদের নাম প্রকাশ করবেন নির্মাতারা।