তখন অভিনয়ে সেভাবে পথচলা শুরু হয়নি। তবে অভিনয়ের ইচ্ছাটা সেই সময় থেকেই। একজন অভিনেতা হিসেবে একটু একটু করে নিজেকে তৈরি করছিলেন রওনক হাসান। এর মধ্যে যেমন ছিল মঞ্চনাটক করা, তেমনি সমানতালে চলত দেশ–বিদেশের সিনেমা ও বই পড়া। ১৯৯৭ সালে তরুণ রওনকের সামনে আসে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেমা ‘ফরেস্ট গাম্প’। টম হ্যাংকস অভিনীত এই সিনেমা তাঁর জীবন বদলে দেয়। এখনো তাঁর সেরা সিনেমার একটি এটি। ‘লাল সিং চাড্ডা’ নামে সিনেমাটি নতুনভাবে তৈরি হয়েছে ভারতে। আমির খান অভিনীত সিনেমাটির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে গত রোববার রাতে। আমির খানের ট্রেলার দেখে ফেসবুকে দুই যুগ আগের ভালোবাসা প্রকাশ করলেন এই অভিনেতা।
রওনক হাসান বলেন, ‘সিনেমাটা আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এখনো আমি সব হতাশার মধ্যে সিনেমাটি দেখে আশার আলো খুঁজে পাই। ফরেস্ট চরিত্রটি আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করে। একজন মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প, সফলতার গল্প খুবই কম আছে। আমার মন খারাপ বা হতাশা তৈরি হলে সিনেমাটি সবার আগে দেখি। সিনেমাটি দেখে মনে হয়, কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। আর আমার কাছে এখন পর্যন্ত সিনেমায় দেখা সেরা প্রপোজাল এই সিনেমায় ডায়ালগ। ফরেস্ট একটা জায়গার তার প্রেমিকাকে বলে, “জেনি আই নো, আই অ্যাম নট আ স্মার্টম্যান, বাট আই নো হোয়াট লাভ ইজ।” এর অর্থ “জেনি আমি জানি, আমি খুব একটা চালাক–চতুর নই, কিন্তু আমি ভালোবাসার অর্থ বুঝি।” এখন পর্যন্ত আমার কাছে মনে এটাই সেরা প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া।’
সিনেমাটি দেখার পর একসময় নিজেকে ফরেস্ট চরিত্রে ভাবতেন রওনক। নিজের মধ্যে ইচ্ছা তৈরি হয় বাংলায় কোনো দিন সিনেমাটি তৈরি হলে তিনি অভিনয় করবেন। কিন্তু এটা খুবই কঠিন। কারণ তৈরি হলেও অভিনয়ে তাঁর সুযোগ না–ও হতে পারে। রওনক বলেন, ‘আমার অভিনেতা ও নির্মাতা হিসেবে ইচ্ছা আছে সিনেমাটিতে কাজ করা। এখানে কেউ সিনেমাটি বানালে আমাকে আগেই ভাবতে না–ও পারে। কাস্টিং করলে অবশ্যই অভিনয় করব। আর আমার জায়গা থেকে সিনেমাটি নিয়ে আমি একটা কনসেপ্ট ডেভেলপ করে রেখেছি। সেটা আমার মতো করে, আমাদের প্রেক্ষাপট হিসেবে বিবেচনা করে যদি কখনো সময়, সুযোগ হয় তাহলে সিনেমাটি নিয়ে কাজ করব। এটা আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছা।’
গতকাল রাতেই আমির খান অভিনীত সিনেমাটির ট্রেলার দেখেছেন তিনি। কেমন লাগল জানতে চাইলে এই অভিনেতা বলেন, ‘ট্রেলার দেখে সিনেমা বোঝা কঠিন। অতটা মুগ্ধতা ছড়ায়নি। তবে সিনেমা দেখলে অবশ্যই ভালো লাগবে। কারণ, আমির খানের ওপর একটা আস্থা রয়েছে। তিনি অনেক গুণী অভিনেতা। যেহেতু আগের সিনেমাটিই পুরোপুরি কপি হয়েছে। সেটা আগেই তাঁরা জানিয়েছিলেন। এটা তাঁরা বুঝেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর আমির খানের অভিনয় অন্য সিনেমার সঙ্গে মেলানোও ঠিক হবে না। কারণ, আমির খান অবশ্যই টম হ্যাংকসের মতো করতে চাইবেন না। আমিরের নিজস্ব স্বকীয়তা এখানে থাকবে।’