কবরী পরিচালিত সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’-এর শুটিং এখনো শেষ হয়নি। সপ্তাহখানেকের কাজ হলেই শেষ হবে এই ছবির শুটিং। প্রথম ছবির শুটিং শেষ হওয়ার আগেই দ্বিতীয় ছবি নির্মাণের কথা ভাবছেন অভিনয়শিল্পী সারাহ বেগম কবরী। গল্প চূড়ান্ত হয়েছে, চলছে চিত্রনাট্য তৈরির কাজ। চলতি বছরের মাঝামাঝি ছবিটির শুটিং শুরু করতে চান তিনি। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কবরী নিজেই।
কবরীর পরবর্তী ছবির নাম ‘আমার বাড়ি আমার খামার’। নতুন এই ছবির গল্পভাবনা নিজের রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে নিয়েছেন তিনি।
কবরী বলেন, ‘সংসদ সদস্য থাকাকালে আমি ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প সম্পর্কে জানতে পারি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনেকে উপকৃত হয়েছেন, আমি নিজেও কাজ করেছি। তখন এত গভীরভাবে বিষয়টি নিয়ে ভাবিনি। শুধু কাজই করে গেছি। কিছুদিন ধরে মনে হচ্ছে, যদি এখনো সংসদ সদস্য থাকতাম, তাহলে এই বিষয় নিয়ে সংসদে কথা বলতাম। এখন যেহেতু সে সুযোগ নেই, তাই এটা নিয়ে অন্যভাবেও কাজ করা যায়। আমি আপাদমস্তক চলচ্চিত্রের মানুষ, তাই বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্রে অন্যরকম একটা গল্প বুনতে পারি, যার মাধ্যমে দেশ, মাটি ও মানুষের কথা বলা যাবে।’
এটি তথ্যচিত্র হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, না। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন, সংগ্রাম, সম্ভাবনা ও উন্নয়নের চিত্র এখানে তুলে ধরা হবে। এটি একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হবে। ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবির কাজের ফাঁকে এই ছবির চিত্রনাট্যের কাজও চলছে। কবরী জানান, এখন থেকে তিনি ধারাবাহিকভাবে সিনেমা বানাতে চান।
‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবির মাধ্যমে নবাগত নায়ক–নায়িকাকে পরিচয় করিয়ে দিতে যাচ্ছেন কবরী। তাঁর এই ছবিতে অভিনয় করছেন নিশাত সালওয়া ও রিয়াদ রায়হান। ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ ছবির শুটিংও নবাগত নায়িক–নায়িকা নিয়েই করতে চান। কবরী বললেন, ‘নিত্যনতুন গল্পের পাশাপাশি একজন পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে নতুন কিছু মুখের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াও আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই আমি খুঁজে খুঁজে নতুন ও সম্ভাবনাময় তরুণ–তরুণীকে চলচ্চিত্রে সুযোগ দিতে চাই। এতে করে আমাদের চলচ্চিত্র অঙ্গনও লাভবান হবে।’
কবরী পরিচালিত ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবির সংগীত পরিচালনা করছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন। তিনি একটি গানে কণ্ঠও দিয়েছেন। ছবির জন্য একটি গানের কথাও লিখেছেন অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক কবরী, যে গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কোনাল ও ইমরান। এই ছবির অন্য গীতিকারেরা হলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। পরিচালনার পাশাপাশি ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা কবরীর। ছবিটি নির্মিত হচ্ছে সরকারি অনুদানে।