মা নামের নতুন একটি ছবিতে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমনি। গত মাসে শেষ হয় এই ছবির শুটিং। বাকি ছিল ডাবিং। গত সোমবার শেষ করলেন ডাবিংও। শিডিউল ছিল দুই দিনের কিন্তু এক দিনে টানা পাঁচ ঘণ্টা কাজ করে ডাবিং শেষ করেন তিনি। জানালেন পরীমনি।
দুই দিনের ডাবিং এক দিনে শেষ করার কারণও আছে। মজার তথ্য দিয়ে এই ঢালিউড তারকা বললেন, ‘আমি ডাবিং করছিলাম। হঠাৎ করেই দেখি হাতের তালু চুলকাচ্ছে। কথাটি শুনতেই পরিচালক আমাকে বললেন, “দু-এক দিনের মধ্যে আপনার হাত কিন্তু ভরে যাবে।” মানে ডাবিং শেষ হলে ওই দিনই বাকি পারিশ্রমিক দিয়ে দেওয়া হবে। আমি মনে মনে ফন্দি আঁটলাম, দাঁড়াও, আজই ডাবিং শেষ করব। টানা কাজ করব। যখন টানা পাঁচ ঘণ্টা কাজ করে ডাবিং শেষ করলাম, পরিচালক তো অবাক। বিশ্বাসই করেননি, আমি এই শরীর নিয়ে এত লোড নিতে পারব। পরিচালক আমাকে বললেন, “কী ব্যাপার, তুমি তো দেখছি একটা ম্যাজিক।” আমি হাসতে হাসতে বললাম, জিনপরি নিয়ে কাজ করলে এমনই হয়!’
মা চলচ্চিত্রটির পরিচালক অরণ্য আনোয়ার। ডাবিংয়ের দিন পরিচালকের কাছ থেকে পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন কি? জানতে চাইলে পরী বলেন, ‘তাঁরা তো বোঝেননি এক দিনেই ডাবিং শেষ করতে পারব। টাকাও সঙ্গে আনেননি। আমি নিজ থেকেই পরে দিতে বলেছি। বিষয়টি নিয়ে অনেক মজা হয়েছে।’
পরীমনি জানালেন,অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রথম জানার পর ২০ সপ্তাহ পার হচ্ছে। আর তাই তো হাতে থাকা কাজগুলো দ্রুত শেষ করে দিচ্ছেন। এখন তো আর ভারী কাজ করা যাবে না, করাও ঠিক হবে না। তিনি বললেন, ‘বাইরে থেকে কেউ আমার অনাগত সন্তানের ব্যাপারটা বুঝতে না পারলেও আমি কিন্তু ভেতরে-ভেতরে অনুভব করছি। দিন যতই পার করছি, অনাগত সন্তানের উপস্থিতি বুঝতে পারছি।’
যতই দিন যাচ্ছে, দুই পরিবারের সবার মধ্যে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে পরীমনির অনাগত সন্তান নিয়ে। ছেলে না মেয়ে হবে—তা নিয়েও চলছে ভবিষ্যদ্বাণী। পরীমনি বলেন, ‘ইচ্ছা করলে এখনই জানা যায়। কিন্তু আমি চাচ্ছি না। থাক না একটু রোমাঞ্চকর অনুভূতি। তবে নব্বই ভাগ বলছে ছেলে হবে, দশ ভাগ বলছে মেয়ে। কিন্তু আমি চাই, আমার সন্তান সুস্থভাবে পৃথিবীতে আসুক। এতটুকুই।’