অনুদানের ছবি জামদানিতে নাম লেখালেন জিয়াউল রোশান। ছবিতে তাঁর বিপরীতে কাজ করবেন তরুণ অভিনেত্রী শিবা আলী খান। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁরা চুক্তিবদ্ধ হন। খুব শিগগির সিনেমার অন্যান্য কাস্টিং চূড়ান্ত করা হবে। মোস্তফা মননের কাহিনি ও আজাদ আবুল কালামের কাহিনি বিন্যাস, চিত্রনাট্যে, সংলাপে ছবিটি পরিচালনা করবেন অনিরুদ্ধ রাসেল।
২০২১ সালে সরকারি অনুদান পায় জামদানি। সিনেমাটির গল্প শুনেই মুগ্ধ হয়েছেন রোশান। তিনি বলেন, ‘দেশের একটি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে সিনেমার গল্প। এই সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হতে পেরে আমি গর্বিত।’
সিনেমায় কী ধরনের চরিত্রে আপনাকে দেখা যাবে, জানতে চাইলে এই নায়ক বলেন, ‘জামদানি ঘিরেই গল্প। একটি ছেলে জামদানি নিয়ে স্বপ্ন দেখে। এর সঙ্গে যুক্ত মানুষের হয়ে কথা বলে। সে চায়, শিল্পটা আরও বেশি দেশ–বিদেশে ছড়িয়ে যাক। সব মিলিয়ে সিনেমার গল্প ও পরিকল্পনা আমার কাছে ভালো লেগেছে।’
সিনেমাটির বিষয় নিয়ে তিন বছর গবেষণা করেছেন নির্মাতা অনিরুদ্ধ রাসেল। একাধিকবার জামদানি পল্লিগুলোতে ঢুঁ মেরেছেন। অবস্থান করেছেন পল্লিতে। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকতেন আজাদ আবুল কালাম। খুব কাছ থেকে তাঁরা জামদানির সঙ্গে যুক্ত মানুষের জীবনযাপন দেখেছেন।
নির্মাতা রাসেল বলেন, ‘গল্পটি নিয়ে আমাকে প্রচুর ভাবতে হয়েছে। জামদানি যেন কোনো তথ্যচিত্র না হয়ে যায়, সেই জন্য অনেক সতর্কতা মেনে চিত্রনাট্য তৈরি করা হয়েছে। জামদানির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্য থেকেই আমরা চরিত্রগুলো বাছাই করেছি। ফিকশন ও বাস্তবতার মিশেলে কাজ করেছি। কাজটি করতে গিয়ে আমাদের মনে হয়েছে, জামদানি নিয়ে প্রচুর কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’
সিনেমার গল্প সম্পর্কে রাসেল বলেন, ‘দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য এখনো ধারণ করে আছে জামদানি। এর সঙ্গে যুক্ত মানুষের টিকে থাকা ও সফলতার গল্প পর্দায় তুলে ধরা হবে। গল্পটি দিয়ে আমি মানবিক একটি পরিস্থিতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’
সিনেমাটির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ এখন পুরোদমে চলছে। ১০ অক্টোবর শুটিং শুরু হবে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের জামদানি পল্লিতে বেশির অংশের শুটিং হবে। কিছু শুটিং এফডিসি ও ঢাকার আশপাশে হবে।