এখনো কাশি আছে। শরীরে হঠাৎ হঠাৎ জ্বরও আসছে। শরীরও ভীষণ দুর্বল। তারপরও হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরতে হয়েছে চিত্রনায়িকা শাবনূরকে। কারণ, একমাত্র ছেলে আইজান নেহানও করোনায় আক্রান্ত। বাসায় অসুস্থ ছেলেকে একা রেখে হাসপাতালে মন টিকছিল না। তাই অসুস্থ শরীর নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে আসেন শাবনূর। সিডনি থেকে প্রথম আলোকে এমনটাই জানালেন এই ঢালিউড তারকা।
ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরটি গেল বছরের শেষ দিকে জানা যায়। অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরা এই চিত্রনায়িকা বললেন, ‘শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে, কিন্তু উপসর্গই এখনো পুরো শেষ হয়নি। খাওয়াদাওয়ায় অরুচিও আছে। হাসপাতালে থাকলে হয়তো এই কয় দিনে আরও উন্নতি হতো। চিকিৎসকেরাও জানিয়েছিলেন আরও কয়েকটি দিন থাকতে। কিন্তু কিচ্ছু ভালো লাগছিল না। ছেলেটা আমার অসুস্থ, যদিও বাসায় আমার আম্মা আছেন, তারপরও...। বাসায় এসে মা–ছেলে দুইজন দুই রুমে আইসোলেশনে আছি, কারণ আইজানের সমস্যাটা একটু কম। শান্তি লাগছে, ছেলেটা চোখের সামনেই আছে।’
২৯ ডিসেম্বর ছিল শাবনূরের ছেলে আইজান নেহানের জন্মদিন। সেদিন করোনা আক্রান্ত শাবনূর ছিলেন হাসপাতালের বিছানায়। আর করোনা আক্রান্ত ছেলে বাসায়। এ নিয়ে ফেসবুকে শাবনূর লিখেছিলেন, ‘ছেলের জন্মদিনে হাসপাতালে থাকায় আমি তার পাশে থাকতে পারিনি। সবার কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আপনারা আইজানের জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহপাক যেন আমার নয়নের মণিকে শিগগিরই সুস্থ করে দেন।’
পাঁচ দিন ধরে পিঠের ব্যথায় ভুগে গত ২৭ ডিসেম্বর সিডনির একটি হাসপাতালে এক্স-রে করাতে যান শাবনূর। করোনাসহ আরও বেশ কিছু পরীক্ষাও করান তিনি। হাসপাতালের কাজ শেষে নিজে গাড়ি চালিয়ে সিডনির বাসায় ফেরেন। বাসায় ঢুকতেই হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, তিনি করোনায় আক্রান্ত। হঠাৎ এ খবরে বিস্মিত ও হতবাক তাঁর পরিবারের সবাই। এরপর ২৭ ডিসেম্বর আইসোলেশনে চলে যান শাবনূর। পরদিন শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ২৯ ডিসেম্বর বুধবার সিডনির স্থানীয় সময় বেলা দুইটায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরিবার নিয়ে কয়েক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকেন ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। তিনি নিয়মিত বাংলাদেশে যাওয়া-আসা করেন। পৃথিবীব্যাপী করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় অনেক দিন হলো দেশে আসতে পারেননি তিনি। শাবনূর জানান, অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়েস্টমেড হাসপাতালের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন তিনি। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো করোনা নেগেটিভ ফল পাননি শাবনূর।