চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রথম ফলাফলে বিজয়ী হলেও সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারেননি জায়েদ খান। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুণ নির্বাচনের ফল মেনে না নেওয়ায় এই চেয়ার ঘিরে শুরু হয় জটিলতা, ঘটনাটি গড়ায় আদালতে। এর পর থেকেই চলচ্চিত্র অঙ্গনের আলোচনার বিষয় ছিল সাধারণ সম্পাদক চেয়ারে কে বসতে যাচ্ছেন। অবশেষে আদালতের রায়ে সেই চেয়ারে বসে কার্যক্রম শুরু করেছেন জায়েদ খান।
গতকাল বুধবার আদালতের রায়ের পর শিল্পী সমিতিতে এসে বাধার মুখে পড়েন জায়েদ খান। রুমটি তালাবদ্ধ ছিল। পরে রাতে সহকর্মী সুচরিতা, অরুণা বিশ্বাস, জয় চৌধুরীসহ অন্যদের নিয়ে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন জায়েদ খান। আজ বৃহস্পতিবার পুরোদমে শুরু করেছেন দায়িত্বপালন। এ প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, ‘আজ একটার দিকে সমিতির অফিসে এসেছি। এসেই ধোয়ামোছার কাজ করিয়েছি। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে ট্রাপ (দ্য আনটোল্ড স্টোরি) নামে একটি সিনেমার মহরতে উপস্থিত হয়েছিলাম।’ প্রথম দিনে কী কী কার্যক্রম করেছেন, এমন প্রশ্নে জায়েদ বলেন, ‘সংগঠনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা একটি মিটিং করেছি। আগামীকাল কার্যনির্বাহী সভা রয়েছে। সেটার জন্য সবার সঙ্গে কথা বলছি। একটি পরিকল্পনা সাজাচ্ছি। আমাদের নির্বাচিত সব সদস্যের একসঙ্গে ছবি বোর্ডে টানানোর কাজ করেছি। এ কাজ এখন পুরোদমে চলবে। চেয়ারে বসেছি, এখন শিল্পীদের কল্যাণে নিয়মিত কাজ করে যাব।’
এখন থেকে সংগঠনের সব কাজ শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গেই করতে চান। জায়েদ বলেন, ‘প্রথম থেকে আমি কোনো অন্যায় করিনি। এর আগে আদালতের রায়ের পর আমি চাইলে চেয়ারে বসতে পারতাম, কিন্তু বসিনি। কিছু মানুষ আমার পেছনে লেগেছে। তাই চেয়েছিলাম, পুরো সুরাহা হলেই আমি নিয়ম মেনে চেয়ারে বসব। গতকাল যখন রায়ে বলা হয়, আমি স্বপদে বহাল থাকব, তখনই আমি আমার সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইকে ফোন করে জানিয়েছি। আজ আমাদের দেখা হলো। কাঞ্চন (ইলিয়াস কাঞ্চন) ভাই খুশি। আমাদের কথা হয়েছে, একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করব।’ এ সময় আদালতের রায়ের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা আছে বলেও জানান তিনি।
গত ২৮ জানুয়ারির নির্বাচনে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে সহকর্মীদের ভোটে জয়লাভ করেন জায়েদ খান। কিন্তু ফলাফল মেনে নেননি সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যাওয়া নিপুণ। তিনি আপিল করেন। একসময় নির্বাচনী আপিল বোর্ড নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করে। অন্যদিকে অবৈধভাবে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে। পরে পদটি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এটি নিষ্পত্তির দায়িত্ব চলে যায় উচ্চ আদালতে। বেশ কয়েকবার শুনানি পিছিয়ে সর্বশেষ গতকাল দিন ধার্য হয়। সেদিন সকাল থেকে শুরু হয় শুনানি। আদালত জায়েদ খানকে স্বপদে বহাল রাখেন।