দ্বিতীয় সপ্তাহে পা রাখল বীর ছবিটি। প্রথম সপ্তাহে দেশের ৮০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। প্রথম সপ্তাহে দর্শকদের ভেতর আলোড়ন সৃষ্টি করতে না পারলেও দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে এসে তিনটি হল বেড়েছে। ভালো-মন্দ দর্শক প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এখন ৮৩টি প্রেক্ষাগৃহে চলছে ছবিটি। তবে বলাকা, সিনেপ্লেক্সসহ বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটির প্রদর্শনী সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুক্তির দিন সৌরভ নামের এক দর্শক বলেন, ‘শাকিব আর মিশার অভিনয় দারুণ হয়েছে। কাজী হায়াৎও ভালো অভিনয় করেছেন। তবে কিছু দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে, খুব তাড়াহুড়া করে ছবিটির কাজ শেষ করতে চেয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কিছু কিছু জায়গায় অযত্নের ছাপ আছে। গল্প ভালো, কিন্তু বলাটা ভালো হয়নি।’
একই দিনে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে একাধিক প্রেক্ষাগৃহের সঙ্গে কথা বলে ছবির ভালো খবর পাওয়া গিয়েছিল। দ্বিতীয় দিন থেকে প্রদর্শনীতে দর্শক উপস্থিতির চিত্র পাল্টে যেতে থাকে। মধুমিতার কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ‘প্রথম দিন বাম্পার গেছে। দ্বিতীয় দিনে দর্শক অর্ধেক হয়ে গেছে।’ মুক্তির যষ্ঠ দিন সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘দুই দিন ধরে সব শো থেকে মাত্র ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা আসছে।’
বলাকা হলের ব্যবস্থাপক শাহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের এখানে শাকিবের ছবি সে রকম চলে না। একটু ভিন্ন ধারার ছবি ভালো চলে। সেই তুলনায় প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।’ বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রথম দিন যে সাড়া পেয়েছিলাম, পরের তিন দিন সেটা ছিল না। গত সাত দিনে গড়ে টিকিট বিক্রি হয়েছে সিট সংখ্যার ২৫ ভাগ।’
যশোরের মণিহারে প্রথম দিন চার শো থেকে প্রায় ৬০ হাজার টাকা এসেছে। কিন্তু পরের দিন থেকে টিকিট বিক্রি কমতে শুরু করে। প্রেক্ষাগৃহের ব্যবস্থাপক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার চারটি শো থেকে মাত্র ১৬ হাজার টাকা এসেছে। আজ (শুক্রবার) একটু ভালো আছে। এখনো হিসাব করিনি।’
মুক্তির দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিন ছিল ২১ ফেব্রুয়ারি। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বেশ কয়েকটি হলের সঙ্গে কথা বলে বিশেষ এই দিনটিতে মোটামুটি দর্শক উপস্থিতির খবর পাওয়া গেছে। রংপুর শাপলা সিনেমা হলের প্রধান অপারেটর আবদুর রহমান বলেন, ‘পুরো সপ্তাহে দেড় লাখ টাকার ওপরে টিকিট বিক্রি করেছি। দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিনে টিকিট বিক্রি থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা এসেছে।’ ঢাকার শ্যামলী সিনেপ্লেক্সে প্রথম সপ্তাহে প্রায় তিন লাখ টাকা, দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিনের তিনটি শো থেকে এসেছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বীর ছবিটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগামী ঈদুল ফিতর পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন হলে ছবিটি চলবে। এমনকি ঈদেও কিছু হলে চলবে।