শৈশবে ওমর সানী–মৌসুমী জুটির একাধিক সিনেমা দেখেছেন জায়েদ খান। সেই থেকেই ইচ্ছা, একদিন তাঁদের সঙ্গেও পর্দা ভাগাভাগি করবেন। জায়েদের সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে আজ। জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘সোনার চর’ নামে একটি সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করছেন তাঁরা। এই সিনেমা দিয়ে চার বছর পরে একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন ওমর সানী–মৌসুমী।
জায়েদ খান বলেন, ‘সানী ভাই, মৌসুমী আপা অনেক জনপ্রিয়। তাঁদের অভিনয় দেখে ভালো লাগত। ইচ্ছা ছিল তাঁদের সঙ্গে অভিনয় করব। দীর্ঘদিন পরে একসঙ্গে সিনেমাটি করছি। সিনেমাটি নিয়ে ইতিমধ্যে আমাদের মধ্যে কথাও হয়েছে। যেহেতু নির্মাতা ভালো একটি সিনেমা বানাতে চান, সেই জায়গা থেকে আমরা গল্প নিয়ে কথা বলেছি। অনেক দিন ধরেই আমরা সিনেমাটি নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি, আমাদের সবার অংশগ্রহণে ভালো একটি সিনেমা হবে।’
আপনারা তো চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর থেকে কথা বলতেন না। কীভাবে কথা হলো? ‘সেটা ভিন্ন বিষয়। সিনেমাটির পরিচালক ফোনে তাঁদের ধরিয়ে দিয়েছেন। এর মানে এই না, আমি ফোন দিতাম না। সিনেমার স্বার্থে আমরা সবাই এক। সিনেমার পরিচালক একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তিনি গল্প নিয়ে আমাদের কথা বলিয়ে দিয়েছেন, এটা আমার কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সিনেমার গল্প, আঙ্গিক, অভিনয়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এই সময় সানী ভাই, মৌসুমী আপা আমাকে কিছু উপদেশ দিলেন। এগুলো খুবই ভালো লাগল। কাজের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা পেলাম। অনেক দিন পর বড় পর্দায় অভিনয় করছি। ঠিকঠাক কাজের দিকেই মনোযোগ,’ বলেন জায়েদ খান।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে এই তিন অভিনয়শিল্পীর মধ্যে কিছুটা মনোমালিন্য হয়েছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমেও খবর এসেছে। এটা আর মনে রাখতে চান না জায়েদ, ‘শিল্পীদের স্বার্থ এক কথা, পর্দায় সামনে দাঁড়ানো আরেক কথা। আমাদের মধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যা কিছু হয়েছে, সেটা অনেকেই ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁরা আমার সিনিয়র, তাঁদের আমি সব সময় সম্মান করি।
তাঁরা অভিভাবক হিসেবে আমার মতো জুনিয়রকে দুই কথা বলতেই পারেন। সেটা তখনই শেষ। এখন কীভাবে সিনেমাটি ভালো করা যায়, সেই চেষ্টায় আছি। দেড় বছর ধরে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা ভালো নয়। এখন আমাদের ভালো সিনেমা দরকার।’
‘সোনার চর’ সিনেমা দিয়ে প্রায় দুই বছর পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন জায়েদ খান। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।