চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত নেতাদের কাজের যাত্রা শুরু হলো। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই যাত্রা। শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের উদ্যোগে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ক্রিয়া ও সংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক মামনুন ইমন বলেন, ‘আমরা যারা নির্বাচিত হয়েছি এবং আমাদের গাইড করেন এমন সিনিয়র বড় ভাই ও সহকর্মীরা সঙ্গে ছিলেন। এটা দায়িত্ব গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা। আমাদের সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, এ ছাড়া নিপুণ আপু, রিয়াজ ভাইসহ সমমনা মানুষেরা উপস্থিত ছিলাম। এখন সংগঠন কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেটাই করা হবে।’ এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহসাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনূর, কোষাধ্যক্ষ আজাদ খান, দপ্তর সম্পাদক আরমান, কার্যকরী সদস্য ফেরদৌস, জেসমিন ও অন্যরা।
মিশা জায়েদ প্যানেলের নির্বাচিত কেউ ছিলেন কি না জানতে চাইলে ইমন বলেন, ‘নির্বাচনের পর শিল্পীদের কোনো প্যানেল থাকে না। এখন সবাই শিল্পীদের স্বার্থে কাজ করবেন। আমি যত দূর জানি, এর আগে শপথ অনুষ্ঠানের দিনও নির্বাচিত সবাইকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তেমন কেউ আসেননি। আজ জানানো হয়েছিল কি না জানি না। আমি চট্টগ্রামে শুটিং থেকে এসেই সরাসরি অংশ নিয়েছি। আজ আমরা সমিতির সভাপতির সঙ্গে ফুল দিতে গিয়েছিলাম, এটুকুই আমি জানি।’
এদিকে ফলাফল ঘোষণার পর শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ফলাফলে জায়েদ খান জয়ী হলেও পরে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুণ ফলাফল মেনে নেননি। তিনি আপিল বিভাগে অভিযোগ করেন। পরে আপিল বিভাগ জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল ও নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। পরে জায়েদ খান উচ্চ আদালতে রিট করে স্বপদে বহাল থাকার নির্দেশ পান। তখন আদালত নির্দেশ দেন, কেন নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদটি অবৈধ ঘোষণা হবে না। পরের দিন নিপুণ উচ্চ আদালতে রিট করলে আদালত সাধারণ সম্পাদক পদটি ১৩ তারিখ পর্যন্ত স্থগিত করেন। ধারণা করা হচ্ছে ওই দিন জানা যাবে কে আইনগতভাবে সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন।