‘এমনই হওয়া উচিত নির্বাচনে’

দুই প্যানেলের দুই সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন ও মিশা সওদাগরকে দেখা গেল সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে
দুই প্যানেলের দুই সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন ও মিশা সওদাগরকে দেখা গেল সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে

অভিযোগ–পাল্টা অভিযোগ, এরপরও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির। নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন বলেন, দুপুরের বিরতির আগপর্যন্ত ১৩৭ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। বিরতির আগে হঠাৎ নিপুণ তাঁর বিরোধী প্যানেলের জায়েদ খানের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট সংগ্রহের অভিযোগ করেন। এরপর জায়েদও জানান, নিপুণের প্যানেলের একজন প্রার্থী টাকা দিয়ে ভোট সংগ্রহ করছেন।

আজ সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। মোট ভোটার ৪২৮ জন। নিপুণ বলেন, ‘তবে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। আমার মধ্যে কোনো চাপ অনুভব হচ্ছে না। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণের প্রতিদ্বন্দ্বী গত দুবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান।’ তবে সেটা নিয়ে মোটেও বিচলিত নন নিপুণ। জানালেন, জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ নিশ্চিত!

শুক্রবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দুই প্যানেলের দুই সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন ও মিশা সওদাগরকে দেখা গেল সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে। ভোটের লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে খোশগল্প করতে দেখা গেল তাঁদের। গল্পের ফাঁকে ফাঁকে ভোটও প্রার্থনা করছিলেন দুজন। চিত্রনায়িকা রত্না বলছিলেন, ‘এমনই হওয়া উচিত নির্বাচনে। কারণ, আমরা একই পরিবার। ভোট শেষে আমরা সবাই এক, একই আঙিনার মানুষ।’ এ সময় গণমাধ্যমকে উদ্দেশ করে ইলিয়াস কাঞ্চন এমন কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ভোট কীভাবে করতে হয়, প্রার্থীদের আচরণ কেমন হবে, তা আমাদের দুই সভাপতি প্রার্থীর আচরণে বলে দিচ্ছে। একজন আরেকজনকে ধাওয়া করে, গুলি করে, কিন্তু আমরা শিল্পী আমাদের মধ্যে এসব নেই। সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে, এটাই শিল্পীদের পরিচয় দেয়।’ এ সময় মিশা সওদাগর বলেন, ‘কাঞ্চন ভাইয়ের সঙ্গে নির্বাচন করতে পেরে আমি সম্মানিত। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ, ভালো অভিনেতা। তবে আমি জয়ের ব্যাপারে ৬০ ভাগ আশাবাদী।’

ভোট চাইছেন প্রার্থীরা।

মিশা সওদাগর ৬০ ভাগ আশাবাদী বলার পরিপ্রেক্ষিতে কাঞ্চন হাসিমুখে বলেন, ‘শিল্পীরা সবাই খুব ভালো অভিনয় করে। যারা ভালো অভিনয় করে, তাদের ব্যাপারে আগেই কিছু বলতে চাই না। আমি ভোটের ফলাফলে বিশ্বাসী।’

এফডিসির গেটের বাইরে উৎসুক ভক্ত–দর্শকের ভিড়

কথা হয় শাকিল খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখানে শিল্পীদের একজন অভিভাবক দরকার, যিনি শিল্পীদের টেককেয়ার করতে পারবেন। আমি সেই টিমে থাকতে পারলে, শিল্পীদের যদি কোনো কাজে আসতে পারি, ভালো লাগবে।’ এ সময় তিনি বিগত দিনে সদস্য পদ হারানো শিল্পীদের নিয়ে বলেন, ‘ছোট–বড় আমরা সবাই শিল্পী। কোনো বিভেদ চাই না। হিরো বলে অন্যদের ছোট করে দেখব না। বিগত দিনে যারা বাদ পড়েছে, তাদের শিল্পী সমিতির ভোটার তালিকায় আনা উচিত।’