চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক খলিলুর রহমান বাবর মারা গেছেন। তিনি আজ সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খলিলুর রহমান বাবর দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন। ভুগছিলেন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ ও ফুসফুসের সমস্যায়। গত ৩০ এপ্রিল অসুস্থতা বেড়ে গেলে তাঁকে কমফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর গ্যাংগ্রিনের অপারেশন করাতে হয়। এরপর ডাক্তারের পরামর্শে তাঁর বাঁ পায়ের তিনটি আঙুল কেটে বাদ দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত জুন মাসে অস্ত্রোপচার করে তাঁর বাঁ পায়ের হাঁটু থেকে নিচের অংশ কেটে ফেলা হয়। চিকিৎসা শেষে তিনি বাসায় ফিরে যান। তবে গত বৃহস্পতিবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আজ খলিলুর রহমান বাবরকে আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন স্বজনেরা।
খলনায়ক হলেও চলচ্চিত্রে বাবর প্রথম অভিনয় করেন নায়ক চরিত্রে। বাবরের অভিষেক ঘটেছিল আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘বাংলার মুখ’ চলচ্চিত্রে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করে। খলনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হয় নায়করাজ রাজ্জাক প্রযোজিত ও জহিরুল হক পরিচালিত ‘রংবাজ’ চলচ্চিত্র দিয়ে। এরপর তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। অবশ্য মাঝে প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। পরিচালনা করেছেন ‘দয়াবান’, ‘দাগী’, ‘দাদাভাই’সহ বেশ কিছু ব্যবসাসফল ছবি। তবে মূলত অভিনয়েই বেশি সময় দিয়েছেন। পরে নানা অসুস্থতা তাঁকে ঘিরে ধরে, অভিনয় থেকে পুরোপুরিই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।