৬ হাজার রুপি বাঁচাতে গিয়ে মরতে বসেছিলেন এই দুই অভিনেত্রী

কেদারনাথের পথে সারা ও জাহ্নবী
ছবি: সংগৃহীত

জাহ্নবী কাপুর ও সারা আলী খানের মধ্যে অনেক মিল। দুজনই তারকার কন্যা। দুজনেরই পরিবারই চলচ্চিত্র–দুনিয়ায় যুক্ত অনেক দিন ধরে। জাহ্নবী ও সারার বলিউড অভিষেকও একই বছর। ২০১৮ সালে ‘ধড়ক’ ও ‘কেদারনাথ’ দিয়ে হিন্দি ছবিতে পথচলা শুরু তাঁদের। ব্যক্তিগত জীবনে দুজনই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। জিম, পার্টি থেকে যেকোনো অনুষ্ঠানে তাঁদের প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যায়। দুজনের পায়ের তলায় সরষে। তাঁদের ইনস্টাগ্রামের ঢুঁ মারলেই দেখা যায়, দেশ-বিদেশের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর ছবি। জাহ্নবী ও সারা বেশ কয়েকবার একসঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছেন। তবে একসঙ্গে ঘুরতে গিয়ে কয়েকবার মরতেও বসেছিলেন দুজন। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ডিজনি প্লাস হটস্টারে চলছে জনপ্রিয় চ্যাট শো ‘কফি উইথ করণ’-এর নতুন সিজন। সে অনুষ্ঠানের একটি পর্বে একসঙ্গে হাজির হয়েছেন জাহ্নবী ও সারা। সেখানেই জাহ্নবী জানালেন, সারার বুদ্ধিতে ছয় হাজার রুপি বাঁচাতে গিয়ে কীভাবে প্রায় জীবন খোয়াতে বসেছিলেন তাঁরা।

জাহ্নবী ও সারার যেন পায়ের তলায় সরষে। তাঁদের ইনস্টাগ্রামের ঢুঁ মারলেই দেখা যায়, দেশ-বিদেশের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর ছবি

ঘটনা বছর কয়েক আগের, কেদারনাথ সফরের। সারার বুদ্ধিতে অল্প খরচের হোটেলে ওঠেন দুজন। যে হোটেল রুম হিটার নেই। কেদারনাথের প্রচণ্ড ঠান্ডাতেও সারা রুম হিটার ছাড়া হোটেল নিয়েছিলেন ছয় হাজার রুপি বাঁচতে! যা প্রায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল তাঁদের। ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে করণকে জাহ্নবী বলেন, ‘দুটি থার্মাল, একটি পাফার জ্যাকেট, তিনটি শাল, দুই ট্রাক প্যান্ট নিয়ে কেদারনাথ গিয়েছিলাম। ওই রাতে আমি সব কটি পরেও রীতিমতো ঠান্ডায় কাঁপছিলাম। সারা যখন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে হোটেলে ফেরে, ওর ঠোঁট তখন নীল হয়ে গেছে, সে কাঁপছিল।’

একই বছর বলিউডে অভিষেক হয় জাহ্নবী ও সারার

পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ ছিল, সেটা জানিয়ে জাহ্নবী আরও বলেন, ‘মাইনাস সাত ডিগ্রি তাপমাত্রায় রুম হিটার ছাড়া থাকাটা ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। ওই হোটেলের বাথরুমের অবস্থায় ছিল শোচনীয়। মনে হচ্ছিল বাথটাবে বসলেই যেন ভেঙে পড়বে।’ এই একবারই নয় আরও একবার মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসেন দুই বন্ধু। সেবার অবশ্য হোটেলে নয়, আটকা পড়েছিলেন পাহাড়ে। সেবার অবশ্য বিপদ ডেকে এনেছিলেন জাহ্নবী। সে অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন সারা, ‘আমরা ভৈরবনাথ যাওয়া ঠিক করেছিলাম। সেখানে যাওয়ার জন্য সাধারণ হাঁটাপথ আছে। কিন্তু আমরা নিজেদের খুব সেয়ানা ভেবেছি, দুর্গম পথ বেছে নিই। হাইক করে যাব ঠিক করলাম। সেখানে ৮৫ বাঁকের পাথুরে পথ আছে। জাহ্নবী বলব, আমরা চড়ব।’

করণের সঙ্গে জাহ্নবী

একে তো ওপরে ওঠা নিয়ে ভয়, সঙ্গে নড়বড়ে পাথর—সব মিলিয়ে মনে হচ্ছিল যেকোনো সময় নিচে পড়ের যাবেন। একটা পর্যায়ে যা হওয়ার তাই হলো। একটা পাথরের চাঁই ধরে ঝুলতে লাগলেন দুই বন্ধু। একসময় এক ভক্তের দেখা পেয়ে কিছুটা আশা পান। কিন্তু সেই ভক্ত তাঁদের উদ্ধার না করে স্রেফ সেলফি তুলেই চলে যান। এভাবে ৩০ মিনিট ঝুলে থাকার পর সারার গাড়িচালক তাঁদের খুঁজে পান। পরে ভারতীয় স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করেন। এ অভিজ্ঞতার পর দুই বন্ধু যে অনেক দিন পাহাড়মুখী হননি, সে কথা বলাই বাহুল্য।