মুক্তির আগে জটিলতার মুখে পড়ল হৃতিক ও দীপিকার ছবি ‘ফাইটার’। দুঃসংবাদ পেলেন মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের ভক্তরা। বিশ্বব্যাপী আগামীকাল ২৫ জানুয়ারি বলিউডি ছবিটি মুক্তি পেলেও বাদ পড়ছে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ। তাই ওই সব দেশের বলিউড ছবিপ্রেমীরা ‘ফাইটার’ দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে ঠিক কী কারণে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নিষিদ্ধ, সে ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি। ছবি–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি।
সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘ফাইটার’ মুক্তির আগে ‘শের খুল গায়ে’ ও ‘ইশক জ্যায়সে কুচ’ ছবির এ দুটি গানে মেতে ওঠেন হৃতিক ও দীপিকার ভক্তরা। আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সারা দুনিয়ায় মুক্তি পেতে চলেছে ‘ফাইটার’ ছবিটি। তার আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ছবিটি ঘিরে নিষিদ্ধের খবর পাওয়া গেছে। ‘ফাইটার’ ছবি ঘিরে প্রতিনিয়ত নতুন সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
জানা গেছে, হৃতিক রোশন আর দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘ফাইটার’ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মুক্তি না পেলেও এই তালিকায় বাইরে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ভারতের চলচ্চিত্র ব্যবসায়ী বিশেষজ্ঞ ও পরিচালক গিরীশ জোহর এক্সে জানিয়েছেন, ‘ফাইটার’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলজুড়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাতে পিজি-ফিফটিন ক্যাটাগরিতে ছবিটি মুক্তি পাবে।
আর তাই বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরবের মতো দেশের সিনেমাপ্রেমীরা প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশগুলোতে ‘ফাইটার’ মুক্তির ওপর কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তার কারণ স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
‘ফাইটার’ ছবির মাধ্যমে প্রথমবার বড় পর্দায় জুটি হয়ে আসছেন হৃতিক রোশন ও দীপিকা পাড়ুকোন। এ ধরনের ছবি এর আগে বলিউডে তৈরি হয়নি বলে দাবি করেছেন পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ। অ্যাকশনধর্মী এই ছবিতে অনিল কাপুর, করণ সিং গ্রোভারকেও দেখা যাবে।
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ‘ফাইটার’ মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ভারতসহ অন্য দেশের সিনেমাপ্রেমীরা ছবিটি দেখতে বেশ আগ্রহী। এরই মধ্যে ভারতে এ ছবির দেড় লাখের বেশি অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এই ছবি মুক্তির প্রথম দিন ২৫ কোটি রুপির বেশি আয় করবে। চলচ্চিত্র ব্যবসায়ী বিশ্লেষকদের মতে, বক্স অফিস আয়ের দিক থেকে ‘ফাইটার’ ৫০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করবে।
সম্প্রতি ‘ফাইটার’-এর এক প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ। সেই অনুষ্ঠানে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনের (সিবিএফসি) নির্দেশ নিয়ে সিদ্ধার্থকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার ছবিতে কোনো দৃশ্যই জোর করে ঢোকানো নয়। ছবির গল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই দৃশ্যের শুটিং করা হয়। তবে আমরা এটাও বুঝি যে সেন্সর বোর্ডের কিছু দায়বদ্ধতা ও নিয়ম আছে। আমরা সিবিএফসির নির্দেশ মেনে কিছু দৃশ্যে পরিবর্তন করেছি। তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, তাতে ছবির গল্পের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।’
সিদ্ধার্থ আরও জানান, ছবির শেষের দিক থেকে নাকি কিছু দৃশ্য বাদ পড়েছে, ফলে ছবির চিত্রনাট্য কোনোভাবেই প্রভাবিত হয়নি।