চারদিকে ‘কাচ্চে লিম্বু’র জয়জয়কার। জিও স্টুডিওজ আর ম্যাঙ্গো পিপল মিডিয়ার এ ছবি ব্যাংকক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব আর কেরালা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (আইএফএফকে) নির্বাচিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪৭তম টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (টিআইএফএফ) ছবিটির বিশ্ব প্রিমিয়ার হয়েছে। চিত্রসমালোচকদেরও ভূরি ভূরি প্রশংসা কুড়াচ্ছে ‘কাচ্চে লিম্বু’। এই ছবির নায়িকা রাধিকা মদনের প্রশংসায়ও পঞ্চমুখ দর্শক। চারদিকে এত মানুষের এত ভালোবাসা আর প্রশংসা পেয়ে অভিভূত রাধিকা।
তিনি এই ছবির সফলতা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি দারুণ খুশি যে টিআইএফএফে আমাদের এই ছবির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছিল। আমাদের ‘কাচ্চে লিম্বু’ সারা দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে দর্শকের ভালোবাসা পাচ্ছে। আমি রোমাঞ্চিত; কারণ, ব্যাংকক আর আইএফএফকের বিশ্ব ছবি সমারোহে আমাদের ছবি নির্বাচিত হয়েছে। এটা এমন এক ছবি, যা আমার হৃদয়ের খুব কাছে। দর্শক আসনে বসে এই সাফল্যের আনন্দ আমি উপভোগ করতে চাই।’
২০১৪ সালে ছোট পর্দা দিয়ে অভিনয়জীবন শুরু করেন রাধিকা। বিশাল ভরদ্বাজের ‘পটাখা’র মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক। প্রথম ছবিতেই দারুণ অভিনয় করে সবার মন জয় করেছিলেন রাধিকা। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি।
বিগ বাজেটের বিগ ব্যানারের ছবি এখন পর্যন্ত রাধিকার কপালে জোটেনি। তবে এসব নিয়ে খুব একটা আক্ষেপও নেই।
রাধিকা এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমি বর্তমানে বিশ্বাসী। আজকের সময়কে পুরোপুরি উপভোগ করতে চাই। অতীতে কী হয়েছে, তা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না।’ তাঁর ভাষায়, ‘অভিনেত্রী হিসেবে যা চেয়েছিলাম, এখন তা করছি। আমার হাতে এখন প্রচুর কাজ। কাজের চাপে ঘুম প্রায় ছুটে গেছে। এমনই এক জীবন আমি চেয়েছিলাম। তাই এখন প্রতিটা দিনের কাছে কৃতজ্ঞ থাকি। আসলে কোনো জিনিস মনেপ্রাণে চাইলে, তা পাবেনই। এটা চির সত্য।’
রাধিকার ঝুলিতে এখন দারুণ সব প্রকল্প। কুত্তে, সানা, হ্যাপি টিচার্স ডেসহ আরও ছবি ও সিরিজে আগামী দিনে তাঁকে দেখা যাবে। ‘সুরারাই পোত্রু’ ছবির হিন্দি রিমেকে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে আছেন তিনি।
রাধিকা বলেন, ‘এ বছর আমার জন্য অনেক সৌভাগ্য বয়ে এনেছে। প্রচুর ভালোবাসা আর ভালো ভালো কাজ পাচ্ছি। আর এসবই আমি চেয়েছিলাম। ক্যামেরার সামনে যখনই দাঁড়াই, মনে হয় নিজের বাড়িতে আছি। কারণ, এটাই আমার দুনিয়া। আগামী বছর আপনাদের অনেক চমক দেব। তাই আমিও রোমাঞ্চিত।’