বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ আর ব্যতিক্রমী নায়ক আয়ুষ্মান খুরানা। তাঁর জীবনের কাহিনি হার মানায় সিনেমার গল্পকেও। প্রতিনিয়তই নতুন নতুন চরিত্রে নিজেকে ঢেলে সাজিয়েছেন তিনি। রিয়েলিটি শো রোডিজের মঞ্চ থেকে বহু পথ পেরিয়ে বলিপাড়ায় নিজের আসন পাকাপোক্ত করেছেন আয়ুষ্মান খুরানা। ছোটবেলা থেকেই নাচ আর গানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। বলিউডে প্রথম জনপ্রিয়তা পান ‘ভিকি ডোনার’ সিনেমার বদৌলতে। যদিও ২০১২ সালে সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার আগেই কন্যার বাবা হন আয়ুষ্মান। ছোটবেলার বন্ধু তাহিরা কাশ্যপকে খুব অল্প বয়সেই বিয়ে করেন আয়ুষ্মান। তাই তো ৩০ বছর পেরোনোর আগেই তাঁদের ঘর আলো করে আসে কন্যাসন্তান। কন্যার জন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন আয়ুষ্মান খুরানা।
সন্তানকে নিয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করলেও আয়ুষ্মানের শৈশব খুব একটা সুখকর ছিল না। নিজ মুখেই সেই কথা স্বীকার করলেন তিনি। আয়ুষ্মান বাবার হাতে প্রতিনিয়ত মার খেতেন, অন্যদের চেয়ে অনেকটাই কঠোর ছিলেন তাঁর বাবা। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘কন্যাসন্তানের বাবা হলে জীবনের প্রতি অনেক বেশি সহমর্মী হয়ে ওঠা যায়। আমার মেয়ে হওয়ার পর থেকে আমার জীবন সব দিক থেকেই সুন্দর। সবাই বলে, ঘরে কন্যা হলে বাবারা আরও বেশি দায়িত্ববান হয়ে যায়। আমার ক্ষেত্রেও ঠিক তা–ই হয়েছে।’
নিজের জীবনের কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘আমার বাবা কিন্তু একেবারেই অন্য রকম ছিলেন। বলা যেতে পারে, রীতিমতো অত্যাচারী। কখনো আমাদের বেল্ট খুলে মারতেন, কখনো আবার চটি পেটা করতেন। ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো এখনো আমাকে তাড়া করে বেড়ায়।’ উদাহরণ হিসেবে অভিনেতা একটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘একবার রাত করে অনুষ্ঠান ছেড়ে বাড়ি ফিরেছিলাম। সেদিন আমার জামায় নাকি সিগারেটের গন্ধ ছিল। আমার বাবা সেদিন ভীষণ মার মেরেছিলেন আমাকে। কিন্তু আমি সেদিন একেবারেই ধূমপান করিনি, বাবা কিন্তু সে কথা শোনেননি।’
চিরকাল পিতৃতান্ত্রিক পরিবারে বড় হওয়া আয়ুষ্মান এখন বিয়ের পর নারীবাদী হয়ে উঠেছেন। যদিও বাবার সঙ্গে এখনো সম্পর্ক ভীষণ ভালো। চলতি বছর আয়ুষ্মান খুরানার কোনো ছবিই মুক্তি পায়নি বড় পর্দায়। তবে গান নিয়ে তুমুল ব্যস্ত তিনি। আমেরিকায় করছেন একের পর এক অনুষ্ঠান। আয়ুষ্মানের দলের নাম ‘আয়ুষ্মানভবঃ’।