১৯৮৩ সালে মুক্তি পায় ‘মাসুম’
১৯৮৩ সালে মুক্তি পায় ‘মাসুম’

৪০ বছর পর ফিরছে ‘মাসুম’

চার দশক পর ফিরছে বলিউড সিনেমা ‘মাসুম’–এর সিকুয়েল। সম্প্রতি দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিচালক শেখর কাপুর সিকুয়েলের ঘোষণা দেন। সঙ্গে জানান, দ্বিতীয় পর্বেও মুখ্য চরিত্রে থাকছেন নাসিরুদ্দিন শাহ ও শাবানা আজমি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতে যাচ্ছে শুটিং।
সিনেমাটিতে পিঙ্কি (ঊর্মিলা মাতণ্ডকর) আর মিনির (আরাধনা শ্রীবাস্তব) চরিত্রে এবার কারা থাকছেন, তা অবশ্য প্রকাশ করেননি পরিচালক। গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্রে দেখা যাবে মনোজ বাজপেয়িকে। তবে তিনি কি যুগল হংসরাজ অভিনীত রাহুল চরিত্রে স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি পরিচালক শেখর কাপুর।

পিঙ্কি, মিনির সঙ্গে রাহুলকেও যখন বাড়ি নিয়ে ফিরছে ইন্দু (শাবানা আজমি), সেখানে শেষ হয়েছিল ‘মাসুম’। প্রায় ৪০ বছরের ব্যবধানে ফিরলেও নাসিরুদ্দিন-শাবানার সংসারের সেই পুরোনো আমেজই ধরা থাকবে বলে জানিয়েছেন শেখর।

দ্বিতীয় পর্বেও মুখ্য চরিত্রে থাকছেন নাসিরুদ্দিন শাহ ও শাবানা আজমি

১৯৮৩ সালে মুক্তি পায় ‘মাসুম’। এর চিত্রনাট্য লিখেছিলেন গুলজার। ১৯৮০ সালে প্রকাশিত এরিক সেগালের ‘ম্যান উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড’ উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছিল এর কাহিনির নির্যাস। সিনেমাটি দিয়েই পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন শেখর কাপুর।

এত বছর পরও হৃদয়স্পর্শী গল্পের এ সিনেমা এখনো দর্শকের পছন্দের তালিকায়। ‘মাসুম’–এ নাসিরুদ্দিন এবং শাবানার সুখী দাম্পত্য বদলে যায় পরিবারে এক বালকের আগমনে। ডি কে মালহোত্রার (নাসিরুদ্দিন) বিবাহপূর্ব সম্পর্ক থেকে যার জন্ম। রাহুল (যুগল হংসরাজ) নামের সেই বালককে বাড়িতে নিয়ে আসে ডি কে। কিন্তু তার স্ত্রী ইন্দু (শাবানা) মেনে নিতে পারে না ছেলেটিকে। সবার অনবদ্য পারফরম্যান্সই ছবিটিকে বিপুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়।

শেখর কাপুর

‘মাসুম’–এর গানে আর ডি বর্মণের সুর দর্শককে মোহিত করেছিল। ‘তুঝসে নারাজ নাহি জিন্দেগি’র মতো গান এখনো জনপ্রিয়।