সোফায় বসে অভিষেক। গলায় বাঁধা সার্ভিক্যাল কলার। বেশ অসুস্থ, বোঝাই যাচ্ছে কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। মেয়ে তাঁকে বাংলায় ‘অ’ বলতে বলেন। অভিষেক সেটা অনায়াসেই উতরে যান। তবে পুরো একটি বাক্য বলতে বললে পারেন না। বোঝাই যাচ্ছে, গুরুতর অসুস্থ তিনি। কী হয়েছে তাঁর? এমন অনেক প্রশ্ন নিয়েই মুক্তি পেয়েছে ‘আই ওয়ান্ট টু টক’ সিনেমার ট্রেলার। গতকাল মুক্তির পর থেকেই অন্তর্জালে প্রশংসিত হচ্ছে সুজিত সরকারের সিনেমাটির ট্রেলার।
সুজিত সরকারের সিনেমায় থাকে আবেগ, থাকে আমাদের চেনা নানা কিসিমের মানুষ; আর থাকে বাঙালিয়ানা। সেটা তাঁর সিনেমা ‘ভিকি ডোনার’, ‘পিকু’র দর্শকমাত্রই জানেন। তেমন কিছুর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে ‘আই ওয়ান্ট টু টক’ সিনেমার ট্রেলারেও, ছবিটি শুরুই হয়েছে বাংলা সংলাপ দিয়ে।
দুই মিনিটের ট্রেলারে চমকে দিয়েছেন অভিষেক। গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির চরিত্রে তাঁর সংলাপ বলা, তাকানো মন ছুঁয়ে গেছে দর্শকের।
অভিনেতাকে দেখে বোঝা যাচ্ছে, তিনি কোনো দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। ছবির ঝলক দেখে দর্শকের একাংশ অনুমান করেছেন, ছবিতে অভিষেক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। একটি লুকে অভিনেতা প্রায় মুণ্ডিত মস্তক। মাঝেমধ্যেই তাঁকে হাসপাতালে যেতে হয়। সূত্র হিসেবে দেখা যাচ্ছে অভিনেতার গলায় বিশেষ ব্যান্ডেজ। সঙ্গে চিকিৎসকের একাধিকবার সুস্থ জীবনের পরামর্শ।
এরই সঙ্গে কাহিনিতে রয়েছে একাকী অভিভাবকের ইঙ্গিত। ঝলক থেকে বোঝা যায়, অভিষেক কোনো বাঙালি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ঝলকে দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসকের পরামর্শে থেরাপি করাচ্ছেন নায়ক। তিনি কথা বলার চেষ্টা করছেন। এই ছবিতে যে পরিচালক আবেগ ও অনুভূতির জাল বুনেছেন, তা স্পষ্ট।
ট্রেলারের একপর্যায়ে চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। জটিল একটি অস্ত্রোপচার করতে হবে। অভিষেক জানেন, তাঁর সময় হয়তো শেষের দিকে। তাই তিনি উপলব্ধি করেন, ক্ষমা চাইতে হবে। ট্রেলারে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘যাঁদের এত দিন দুঃখ দিয়েছি, তাঁদের কাছে এবার ক্ষমা চাইতে হবে।’ এরপর শুরু হয় তাঁর দীর্ঘ সফর। তিনি ক্ষমা চাইতে পারেন? সেটা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ছবিটি মুক্তি পাওয়া পর্যন্ত।
ট্রেলার দেখে অনেকেই এ ছবিকে তুলনা করছেন সুজিতের আগের সিনেমা ‘অক্টোবর’-এর সঙ্গে। ইউটিউবে ট্রেলারের নিচে মন্তব্যের ঘরে সে কথা অনেকেই লিখেছেন। ‘আই ওয়ান্ট টু টক’ সিনেমাটি মুক্তি পাবে ২১ নভেম্বর।