ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ঐশ্বরিয়া–ধানুশের ১৮ বছরের সংসারে চূড়ান্ত বিচ্ছেদ

শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদটা হয়েই গেল। লাগল না জোড়া, চূড়ান্ত বিচ্ছেদ হয়েই গেল দক্ষিণি তারকা ধানুশ আর তাঁর স্ত্রী ঐশ্বরিয়ার।

আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে ফেলেছিলেন ধানুশ ও তারকাকন্যা ঐশ্বরিয়া। ২৭ নভেম্বর ডিভোর্সের সার্টিফিকেট হাতে পেলেন তাঁরা। ঐশ্বরিয়া অভিনেতা রজনীকান্তর মেয়ে। সূত্র হিন্দুস্তান টাইমস।
২০২২ সালে ধানুশ এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রথম জানান, ‘১৮ বছর ধরে আমাদের একসঙ্গে পথচলা। এ সময় বন্ধু হিসেবে, মা-বাবা হিসেবে, এ ছাড়া আমরা সব সময় একে অপরের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে পাশে থেকেছি। আমাদের এই সময়ের বোঝাপড়ার ভ্রমণটা দারুণ ছিল। আজ থেকে আমরা এমন এক পথে যাচ্ছি, যেটা আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বিচ্ছেদে যাচ্ছি। আমরা বোঝাপড়ার জন্যও সময় নিয়েছি। দয়া করে আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবেন।’ পরবর্তী সময়ে ঐশ্বরিয়াও একই রকম বার্তা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। তিনি সে সময় লেখেন, ‘কোনো ক্যাপশনের প্রয়োজন নেই। একমাত্র আপনাদের বোঝাপড়া ও ভালোবাসার প্রয়োজন অনুভব করছি।’

দুই ছেলের সঙ্গে ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত সপ্তাহে চেন্নাইয়ের পারাপারিক আদালতে হাজিরাও দেন দুজন। আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করার পরও শোনা গিয়েছিল, নিজেদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে দুই পরিবার। কারণ, এ বিচ্ছেদ নিয়ে একেবারেই খুশি নন ‘থালাইভা’ রজনীকান্ত। মেয়ে-জামাইকে মুখোমুখি বসিয়ে বোঝানোর চেষ্টাও করেছেন তিনি। তিনবার ডিভোর্স মামলার শুনানি এড়িয়েছিলেন ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া; সে সূত্রে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, হয়তো শেষ পর্যন্ত বিয়েটা টিকে যাবে।

কিন্তু গত বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন তাঁরা। সেই মতোই আজ ডিভোর্স ফয়সালা হাতে পেলেন দুজন। ২০০৪ সালে তাঁরা মাত্র ২১ ও ২৪ বছর বয়সে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের ঘরে রয়েছে দুই ছেলে; তাদের নাম ইয়াত্রা ও লিঙ্গা। তাদের জন্ম ২০০৬ ও ২০১০ সালে।

ঐশ্বরিয়া ও ধানুশ

জানা গেছে, ধানুশের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২৩০ কোটি টাকা। পিছিয়ে নেই রজনীকান্তর পরিচালক কন্যাও। ঐশ্বরিয়ারও সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা। সঙ্গে বাবার সুবিশাল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী তিনি।

ধানুশ

পারস্পরিক সম্মতিতে এ ডিভোর্স হয়েছে, খোরপোশের কোনো তথ্যই এখনো সামনে আসেনি। বিচ্ছেদের ঘোষণার পর পেশাগত জায়গায় মনোনিবেশ করেছেন ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। পরিচালক হিসেবে ‘লাল সালাম’ সিনেমা দিয়ে কাজে ফিরেছেন ঐশ্বরিয়া। ধানুশকে দেখা গিয়েছিল প্রাইম ভিডিওর ‘ক্যাপ্টেন মিলার’ সিনেমায়। তাঁকে শিগগিরই দেখা যাবে একটি বায়োপিকে।