রেবতীর মৃত্যুর মামলায় গত শুক্রবার রাত জেলে কাটিয়ে পরদিন শনিবার সকালে নিজের বাড়িতে ফিরেছেন প্যান ইন্ডিয়া তারকা আল্লু অর্জুন। জেল থেকে বের হয়ে গতকাল রোববার রাতে প্রথম পোস্ট করেন দক্ষিণি এই সুপারস্টার। এই পোস্টে রেবতীর ছেলে শ্রীতেজের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
৪ ডিসেম্বর রাতে হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ার চলাকালে রেবতী নামের এক নারীর মৃত্যুকে ঘিরে অভিযুক্ত হিসেবে আল্লুর নাম উঠে এসেছে। এদিন রাতে রেবতী পদপিষ্ট হয়ে মারা গেছেন। তাঁর ১৩ বছরের ছেলে শ্রীতেজ এই রাতে গুরুতর আহত হয়েছিল। এখন সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রেবতীর পরিবার আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। কারণ, আল্লু এদিন রাতে আচমকা সন্ধ্যা থিয়েটারে গিয়েছিলেন। এই দক্ষিণি তারকার সঙ্গে ছিলেন তাঁর নিরাপত্তাকর্মীরা। আল্লু প্রেক্ষাগৃহে হঠাৎ আসার ফলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। তাঁকে একঝলক দেখার জন্য মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আর তার জেরে পদদলিত হয়ে প্রাণ হারান ৩৫ বছরের রেবতী।
শুক্রবার দুপুর ১২ নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয় আল্লুকে। অন্তর্বর্তী জামিন পাওয়ার পরও এক রাত জেলে কাটাতে হয়েছিল তাঁকে।
জেল থেকে বের হওয়ার পর আল্লু প্রথম তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লেখেন, ‘আমি কিশোর শ্রীতেজকে নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত। ওই দিনের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার পর হাসপাতালে ও এখন চিকিৎসাধীন। আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে তার ও পরিবারের সঙ্গে আমাকে দেখা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওনাদের জন্য আমার প্রার্থনা জারি থাকবে। কিশোরটির চিকিৎসাজনিত ব্যয়ভার আর ওর পরিবারের প্রয়োজনীয় খরচের দায়িত্ব আমি নেব বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আমি ওর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। ওর এবং ওর পরিবারের সঙ্গে যত শিগগির সম্ভব, দেখা করার জন্য আমি ব্যাকুল।’
রেবতীর মৃত্যুর মামলায় শুক্রবার আল্লুকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে চিক্কদপল্লি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর নিম্ন আদালতে পেশ করা হয়েছিল আল্লু অর্জুনকে। নিম্ন আদালত অভিনেতাকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এই গ্রেপ্তারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি তেলাঙ্গানা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। উচ্চ আদালত তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিনের আদেশ দিয়েছিলেন। তবে জামিন পেয়েও জেলে গোটা একটা রাত কাটাতে হয়েছিল অভিনেতাকে। চাঞ্চলগুডা কেন্দ্রীয় কারাগারে শুক্রবার রাতটা কাটিয়েছেন তিনি। শনিবার সাতসকালে জেল থেকে ছাড়া পান আল্লু অর্জুন। জেল থেকে আল্লুকে নিতে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা ও শ্বশুর।