কিংবদন্তি তেলেগু নির্মাতা কে বিশ্বনাথ মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৯২ বছর বয়সী এই নির্মাতার মৃত্যু হয়। অনেক দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস
বিশ্বনাথ কেবল নির্মাতাই ছিলেন না, ছিলেন অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার। তাঁকে তেলেগু ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে রাজনৈতিক সচেতন নির্মাতা বলে মনে করা হয়। বিশ্বনাথ সেই হাতে গোনা নির্মাতাদের একজন, যাঁরা শৈল্পিক ও বাণিজ্যিক সিনেমার সফল মিশ্রণ ঘটাতে পেরেছেন।
ছয় দশকের ক্যারিয়ারে নানা ঘরানার ৫৩টি সিনেমা বানিয়েছেন বিশ্বনাথ। নিজের ছবিতে জাত, বর্ণ, লিঙ্গবৈষম্যের কথা তুলে এনেছেন। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য পদ্মশ্রী, দাদাসাহেব ফালকেসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন, সাতবার পেয়েছেন রাজ্য সরকারের নান্দি অ্যাওয়ার্ডস।
১৯৩০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের গান্তুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন কে বিশ্বনাথ। ১৯৬৫ সালে ‘আত্মা গোরাবান’ সিনেমা দিয়ে পরিচালক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘ও সিতা কথা’, ‘জীবনা জ্যোতি’, ‘শঙ্করাভারানম’, ‘সাগরা সঙ্গামাম’, ‘সপ্তপদী’ ইত্যাদি। তাঁর সিনেমা ‘স্বাতী মুথ্যাম’ ভারত থেকে অস্কারে মনোনয়নের জন্য পাঠানো হয়। কে বিশ্বনাথ পরিচালিত সর্বশেষ সিনেমা ‘সুভাপ্রাদাম’ মুক্তি পায় ২০১০ সালে। পরিচালনা ছাড়াও ২০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেনে বিশ্বনাথ।
বিশ্বনাথ ও কমল হাসানের জুটি ভারতের ইতিহাসের নায়ক-পরিচালক জুটিগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা। বিশ্বনাথ ও কমল একসঙ্গে তিনটি প্রখ্যাত সিনেমা তৈরি করেছেন ‘সাগরা সঙ্গামাম’, ‘স্বাতী মুথ্যাম’ ও ‘শুভা শঙ্কলপাম’। প্রখ্যাত এই পরিচালকের মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল দক্ষিণি তারকারা। বিশ্বনাথের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে টুইট করেছেন, এ আর রহমান, রাম গোপাল ভার্মা, নানি, জুনিয়র এনটিআর, মামুত্তি, কমল হাসান প্রমুখ।