বলিউড সুপারস্টার সালমান খান প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার পর থেকে তাঁর নিরাপত্তাব্যবস্থা দ্বিগুণ করা হয়েছে। সালমানও নিজেকে সুরক্ষিত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। সম্প্রতি মুম্বাই পুলিশের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি পেয়েছেন এই বলিউড সুপারস্টার।
গত মে মাসে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই আছেন বলে পুলিশের দাবি। সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পরপরই সালমানকে উড়োচিঠির মাধ্যমে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সালমান জুলাইয়ের শেষের দিকে মুম্বাই পুলিশের শীর্ষ কর্তা বিবেক ফানসালকারের সঙ্গে দেখা করে বন্দুক রাখার লাইসেন্সের অনুমতি চেয়েছিলেন।
সালমান নিজের আত্মরক্ষার্থে এবং পরিবারের সুরক্ষার কারণে এই আবেদন করেছিলেন। আর তার জন্য তাঁর শারীরিক পরীক্ষাও হয়েছিল। এখন মুম্বাই পুলিশ সালমানকে বন্দুক রাখার অনুমতি দিয়েছে। তাই এখন তিনি নিজের কাছে বন্দুক রাখতে পারবেন।
এদিকে আগেই খবর ছিল যে সালমান নিজেকে সুরক্ষিত করার জন্য নিজের গাড়িকে আপগ্রেড করেছেন। এখন তিনি ল্যান্ড ক্রজারে ভ্রমণ করবেন। আর এই গাড়ি বুলেটপ্রুফ। এমনকি গাড়ির সব কাচ বুলেটপ্রুফ বলে জানা গেছে।
ভাইজানের এই গাড়ি ল্যান্ড ক্রুজারের নতুন ভার্সন নয়। তিনি তাঁর পুরোনো গাড়িকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপগ্রেড করেছেন। এবার থেকে সালমানকে সাদা রঙের বুলেটপ্রুফ ল্যান্ড ক্রুজারে সওয়ারি হতে দেখা যাবে। তাঁর সঙ্গে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীরাও থাকবেন। সালমান আগে ল্যান্ড রোভার ব্যবহার করতেন।
সালমান খানের বাবা সেলিম খান গত ৫ জুন ভোরবেলায় এক উড়োচিঠি পেয়েছিলেন। এই চিঠিতে সালমান আর তাঁর বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। গায়ক সিধু মুসেওয়ালার মতো তাঁদের হাল করা হবে বলে এই চিঠিতে উল্লেখ ছিল। পুলিশের সন্দেহ ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার সঙ্গে এই উড়োচিঠির সম্পর্ক আছে। সালমান এই মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত। আর তাই গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার বদলা নিতে চান।