পর্নো সিনেমা থেকে এসে মূল ধারার সিনেমায় সাফল্য পেয়েছেন, এমন উদাহরণ বিশ্ব চলচ্চিত্র বেশ কয়েকটি আছে। এই যেমন বলা যায় সাশা গ্রের কথা, যিনি ২০০৯ সালে স্টিভেন সোল্ডারবার্গের মতো পরিচালকের সিনেমায় (দ্য গার্লফ্রেন্ড এক্সপেরিয়েন্স) অভিনয় করেছেন। বলা যায় জেনিফার কেচম্যানের কথাও। তবে সানি লিওনির গল্পটা একটু অন্য রকম। ১২ বছর পর্নো সিনেমায় অভিনয় করার পর একের পর এক মূল ধারার হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এবার সানি অভিনীত সিনেমা ‘কেনেডি’ তো কান চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনয়ন পর্যন্ত পেয়েছে! উৎসবে গিয়ে পর্নো সিনেমা ছেড়ে মূল ধারার সিনেমায় কাজের চ্যালেঞ্জ নিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম ডেডলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
পর্নো সিনেমায় অভিনয় ছাড়ার পর কানাডীয় বংশোদ্ভূত এই ভারতীয় অভিনেত্রী ৩০টির বেশি মূল ধারার সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ২০১১-১২ সালে জনপ্রিয় টিভি রিয়েলিটি শো ‘বিস বস’ দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু হয় সানি লিওনির।
কিন্তু পথটা যে সহজ ছিল না, ডেডলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা জানান অভিনেত্রী, ‘শোতে যাওয়ার আগে অনেক ঝঞ্ঝাট পোহাতে হয়েছে। আমাকে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়েছে, বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও এসেছে।’
তবে সানি জানান, ‘বিগ বস’-এ অংশ নেওয়ার কারণেই তাঁর সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া সহজ হয়েছে, ‘সবাই বুঝেছেন, আমিও মানুষ। শোতে আমাকে রান্না করতে, পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে দেখে গেছে, এটা দর্শকের সঙ্গে একটা সেতুবন্ধন তৈরি করেছে।’
আগে হিন্দি, বাংলা, মালয়ালম, তেলেগু, নেপালি নানা ধরনের সিনেমা করলেও নতুন সিনেমা ‘কেনেডি’ সানি লিওনির জন্য বিশেষ কিছু। কারণ, ছবিটি বানিয়েছেন অনুরাগ কশ্যপ। নিও-নোয়া থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটি চলতি বছরের কান উৎসবের মিডনাইট স্ক্রিনিং বিভাগে দেখানো হবে আজ। ছবিটিতে চার্লি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সানি।