এমনিতে বক্স অফিসে নিশ্চিত সাফল্য এনে দেওয়া তারকাদের একজন তিনি। গত কয়েক বছরে ‘মনমর্জিয়া’, ‘বদলা’র মতো হিট ছবি উপহার দিয়েছেন তাপসী পান্নু। তবে হলে বলিউডের অন্য অনেক তারকার মতো তাঁরও সময়টা ভালো যাচ্ছে না। গত সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া তাঁর ছবি ‘দোবারা’ ভালো ব্যবসা করেনি। কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া আরেক ছবি ‘শাবাশ মিঠু’ও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। এসবে অবশ্য যায়–আসে না তাপসীর। তিনি মনে করেন, প্রত্যেক মানুষের জীবনেই ওঠানামা থাকে। এটা জীবনের অংশ। দক্ষিণ ভারতের সিনেমা দিয়ে শুরুর পর বলিউডের অন্যতম শীর্ষ অভিনেত্রী হয়ে উঠেছেন তাপসী। তাঁর জীবন যে উচ্চতায় পৌঁছেছে, তার জন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন এ অভিনেত্রী।
এক যুগ আগে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। দিল্লির মেয়ে হলেও অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরু দক্ষিণ ভারতে। তেলেগু ছবি দিয়ে তাঁর অভিনয়জীবন শুরুর পর ২০১৩ সালে বলিউডে পা রাখেন। প্রথম হিন্দি ছবি ‘চশমে বদ্দুর’ অবশ্য ছিল ডাহা ফ্লপ। দক্ষিণি ছবিতে তাঁর ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে তাপসী বলেন, ‘বলিউডে আসার আগে ১০টা দক্ষিণি ছবিতে কাজ করেছি। কিন্তু মুম্বাইয়ে আসার পর বলা হয়, দক্ষিণের তকমাটা গা থেকে পুরোপুরিভাবে মুছে ফেলতে। না হলে এখানকার সবাই আমাকে দক্ষিণি নায়িকা হিসেবেই দেখবেন। তাই আমাকে নতুন করে শুরু করতে হয়েছিল।’
প্রথম হিন্দি ছবির স্মৃতি স্মরণ করে তাপসী বলেন, ‘এখনো মনে আছে, “চশমে বদ্দুর”–এর সেটে ঋষিজি (কাপুর) জিজ্ঞেস করেছিলেন, কয়টি দক্ষিণি ছবিতে কাজ করেছি। ১০টা ছবি করেছি বলতেই তিনি আমাকে মজা করে প্রবীণ অভিনেতা বলেছিলেন।’
তবে উত্তর ও দক্ষিণের সিনেমা দুনিয়ায় কাজ করায় পুরো ভারতে তাঁর জন্য পরিচিতি পাওয়া সহজ হয়েছে বলেও জানান এ অভিনেত্রী, ‘মানুষ আমাকে এখন প্যান ইন্ডিয়া তারকা ভাবে। আমার দক্ষিণি ছবি হিন্দিতে ডাব করে উত্তরে চালানো হয়। আর হিন্দি ছবি ডাব করে দক্ষিণ ভারতে দেখানো হয়।’
চলতি বছরই ক্যারিয়ারের এক যুগ পূর্ণ করলেন তাপসী। ১২ বছরের এই চলচ্চিত্র–ভ্রমণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন পেছনের দিকে ফিরে তাকাই, মনে হয়, যা চেয়েছি, তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি। কখনো ভাবিনি অভিনেত্রী হব। অথচ এখন শাহরুখ খানের ছবিতে কাজ করছি। মনে হয়, এসব আমার জন্য বোনাস। তাই আমি সহজে ভেঙে পড়ি না, আর দোষারোপও করি না। মনে হয়, সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।’
তাপসী মনে করেন, প্রত্যেক মানুষের জীবনে চড়াই–উতরাই থাকে। তাঁর সঙ্গে যখন কিছু ভালো ঘটে না, তখন তিনি পেছনের দিকে ফিরে তাকান। মনে মনে ভাবেন, কোথায় ছিলেন আর কোথায় এসে পৌঁছেছেন তিনি।