মাত্র ১৮ বছর বয়সে দিল্লির পিতমপুরা থেকে মুম্বাইতে এসেছিলেন অভিনেত্রী রাধিকা মদান। স্বপ্ন ছিল অভিনেত্রী হওয়ার। এখন তিনি ধীরে ধীরে সাফল্য পাচ্ছেন। কিছুদিন আগেই ‘সারফিরা’ ছবিতে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গেল তাঁকে। এ ছবিতে রাধিকার অভিনয় সবার মন জয় করেছে। কিন্তু বক্স অফিসে আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারেনি ছবিটি। প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধির সঙ্গে রাধিকা মদানের সাক্ষাৎকারের শুরুতেই উঠে আসে ছবির বক্স অফিস ব্যর্থতা প্রসঙ্গ।
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাদের কাজ প্রশংসিত হয়েছে। আমার অভিনয় সবার মনে ধরেছে। আমি সব সময় সততার সঙ্গে কাজ করে এসেছি। সব ছবির ক্ষেত্রে নিজের শতভাগ দিই। বক্স অফিসের সাফল্য আমার হাতে নেই, এটা দর্শকদের হাতে থাকে।’
সারফিরায় রাধিকা অক্ষয় কুমারের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনেত্রী জানান, তিনি শুরুতে জানতেনই না অক্ষয় এই ছবির নায়ক! রাধিকার ভাষ্যে, ‘এই ছবিটি বেছে নেওয়ার মূল কারণ “রানি” চরিত্রটি। আমি পর পর গুরুগম্ভীর চরিত্রে অভিনয় করছিলাম। তাই আমার হালকা হওয়ার প্রয়োজন ছিল। চরিত্রটি আমাকে অক্সিজেন দিয়েছিল। বাস্তবে আমি অনেকটা “রানি”র মতো পাগল (সশব্দে হেসে)।’
আমার কাছে মাধ্যম কোনো দিনই গুরুত্ব পায়নি। আমি শুধু চরিত্রের মাধ্যমে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চাই। এমনকি পর্দায় আমার কতক্ষণের উপস্থিতি, তা নিয়েও আমি মাথা ঘামাই না। আমার কাছে কোনো চরিত্রের দৈর্ঘ্যের চেয়ে তার ওজন বেশি গুরুত্ব পায়। যেকোনো ভারী চরিত্র আমাকে বেশি টানে।রাধিকা মদন
উদাহরণ দিয়ে অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমিও চরিত্রটির মতো স্বপ্নের পেছনে ধাওয়া করেছিলাম। মাত্র ১৮ বছর বয়সে দিল্লি থেকে অচেনা মুম্বাইতে এসেছিলাম। কাউকে চিনতাম না। অভিনয়ের কিছুই জানতাম না। কিন্তু ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে মনে হতো এটাই আমার ঘরবাড়ি।’
ছবিতে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত বলে জানান রাধিকা। তাঁর কথায়, ‘অক্ষয় স্যার আমাকে বুঝতেই দেননি যে তিনি কত বড় তারকা। সেটে শুধু আমাকে নয়, সবাইকে সহজ করে দিয়েছিলেন।’
ছোট পর্দা থেকে অভিনয়জীবন শুরু করেছিলেন রাধিকা। ছোট পর্দা থেকে আবার ডাক এলে কী রাধিকা অভিনয় করবেন? সম্মতি প্রকাশ করে অভিনেত্রী বলেন, ‘নিশ্চয়। আমার কাছে মাধ্যম কোনো দিনই গুরুত্ব পায়নি। আমি শুধু চরিত্রের মাধ্যমে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চাই। এমনকি পর্দায় আমার কতক্ষণের উপস্থিতি, তা নিয়েও আমি মাথা ঘামাই না। আমার কাছে কোনো চরিত্রের দৈর্ঘ্যের চেয়ে তার ওজন বেশি গুরুত্ব পায়। যেকোনো ভারী চরিত্র আমাকে বেশি টানে।’ তবে অভিনেত্রী জানান, একই চরিত্রে বারবার অভিনয় করতে চান না তিনি।
রাধিকা জানান, বলিউড পরিবারের বাইরে থেকে এসেও তাঁর কাজ করতে অসুবিধা হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছবির পরিচালকদের থেকে সব সময় সাহায্য পেয়েছি। তাঁরা ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিয়েছেন। আজ আমি যে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সাহস পাচ্ছি, সেটা তাঁদের কারণেই। তবে আমাকে সব সময় সেরাটা দিতে হবে, তা না হলে হারিয়ে যাব।’
আড্ডার শেষে রাধিকা জানান যে তিনি কখনোই ক্যারিয়ার নিয়ে সন্তুষ্টিতে ভুগতে চান না। চান যে আরও ভালো অভিনয় করার খিদে তাঁকে যেন সব সময় তাড়া করে। কেমন জীবনসঙ্গী চান, জানতে চাইলে লাজুক হেসে বলেন, ‘অবশ্যই একজন ভালো ও সংবেদনশীল মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চাইব। চাইব সে যেন আমাকে, আর আমার কাজকে সম্মান করে।’