শহীদ কাপুর তখন তিন বছরের শিশু। মা নীলিমা আজমি ও বাবা পঙ্কজ কাপুরের বিচ্ছেদের পর মায়ের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। কিন্তু প্রতিমুহূর্তে বাবার অপূর্ণতা ঘিরে ধরত তাঁকে। বাবার অনুপস্থিতির যন্ত্রণা কুরে কুরে খেত। সৎভাই ঈশানের সঙ্গে আন্তরিকতার সঙ্গেই মিশেছেন। পরিবারের একজন হয়ে উঠেছেন ঈশান। প্রয়োজনে শহীদ হয়ে উঠেছেন তাঁর অভিভাবক। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শৈশবের যন্ত্রণা নিয়ে মুখ খুলেছেন শহীদ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার
বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সফর খুব একটা মসৃণ ছিল না। নেপথ্য নৃত্যশিল্পী হিসেবে পা রাখেন বলি–দুনিয়ায়।
ছোট বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিওর কাজ শুরু করেন। উদ্দেশ্য একটাই, মাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করবেন। অভিভাবক বলিউড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তাঁদের সাহায্য নেননি শহীদ। প্রায় ১০০ অডিশন পার করে কাজের সুযোগ মেলে।
‘ইশক ভিশক’ ছবির মাধ্যমে প্রথম ব্রেক। এটি সুপারহিট হওয়ার ফলে হাতে বেশ কয়েকটি ছবির সুযোগ আসে। কিন্তু বক্স অফিসে পরপর মুখ থুবড়ে পড়ে ছবিগুলো। ‘জাব উই মেট’ ছবির হাত ধরে ভাগ্য ফেরে অভিনেতার। রাতারাতি বলিউডের জনপ্রিয় নায়ক হয়ে ওঠেন তিনি।
এর আগে শহীদ জানিয়েছিলেন, বাবার সঙ্গে তাঁর সীমিত যোগাযোগ হয়েছিল। পাশাপাশি অনেকে ভাবেন, বলিউডে শহীদের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা হওয়ার নেপথ্যে রয়েছেন পঙ্কজ কাপুর। এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশও করেন অভিনেতা। তাঁর মতে, বলিউডে পা রাখার সময় গোপন রেখেছিলেন বাবার পরিচয়। তা ছাড়া অভিনেতা বারবার স্মরণ করিয়ে দেন, তাঁকে বড় করেছেন তাঁর ‘সিঙ্গেল মাদার’, বাবার কোনো ভূমিকা নেই। শৈশবের যন্ত্রণা এখনো তাড়া করে বেড়ায় অভিনেতাকে।