‘ইমরান–অভিজ্ঞতা’য় রোমান্সে পটু

ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার এক সুপ্ত বাসনা শ্রেয়ার মধ্যে ছিল
ছবি : সংগৃহীত

‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ ওয়েব সিরিজ শ্রেয়া ধন্বন্তরির ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। এই এক সিরিজ দিয়েই যতটা পরিচিতি পেয়েছেন, ততটা পাননি ইমরান হাশমির মতো নায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধে ছবি করেও। তবে ইমরানের সঙ্গে কাজের সুবাদে রোমান্সটা ভালোভাবে রপ্ত করে নিয়েছেন।

‘হোয়াই চিট ইন্ডিয়া’ ছবিতে শ্রেয়া ধন্বন্তরি ও ইমরান হাশমি

খুব শিগগির মুক্তি পেতে চলেছে শ্রেয়া অভিনীত ছবি ‘চুপ’। আর বালকি পরিচালিত সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারধর্মী ছবিতে শ্রেয়া জুটি বেঁধেছেন জনপ্রিয় মালয়ালম অভিনেতা দুলকার সালমানের সঙ্গে। চুপ-এ আরও আছেন সানি দেওল ও পূজা ভাট। চুপ-এর মতো ছবিতে কাজের সুযোগ পেয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত শ্রেয়া। প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভাবতেই পারছি না এত বড় ছবির মূল চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। সানি দেওল, পূজা ভাট, দুলকার সালমানের মতো নাম এ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িয়ে। তার ওপর আর বালকি ছবির পরিচালক। তবে ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ সিরিজের জোরেই আমি ‘স্ক্যাম ১৯৯২’ সিরিজ ও এ ছবি পেয়েছি।’

‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ বদলে দিয়েছে শ্রেয়ার ক্যারিয়ার

শ্রেয়া আরও বলেন ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ কীভাবে অন্য অভিনেতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সেতু তৈরি করে দিয়েছে, ‘সিরিজটির জন্যই মনোজ (বাজপাই) স্যারের মতো মানুষের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। তাঁর মতো অভিনেতার সান্নিধ্যে এসে নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে আরও ভালো করে গড়ে–পিঠে নিতে পেরেছি। মনোজ স্যারের থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।’


এই সূত্র ধরে উঠে আসে শ্রেয়ার প্রথম অভিষেক বলিউড ছবি ‘হোয়াই চিট ইন্ডিয়া’র কথা। ছবিতে ইমরান হাশমির সঙ্গে জুটি বেঁধে ছিলেন তিনি। ‘হোয়াই চিট ইন্ডিয়া’ প্রসঙ্গে শ্রেয়া বলেন, ‘আমার মনে হয়, ছবিটা আমার পরিবারের লোকজন ছাড়া আর কেউ দেখেননি (সশব্দে হেসে)। তবে এই সিনেমাতে ইমরান হাশমির মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছি। আমি মনে করি, ইন্ডাস্ট্রিতে শাহরুখ খান ছাড়া আর কেউ যদি ভালো রোমান্স করতে পারেন, তিনি হলেন ইমরান। তাঁর থেকে শিখেছি, পর্দায় কীভাবে রোমান্স করতে হয়। কী করে নায়কের সঙ্গে রসায়ন গড়ে তুলতে হয়। আমার মনে হয়, গাছের সঙ্গেও তিনি রসায়ন গড়ে তুলতে পারবেন। তবে এখন আমিও রোমান্সে পটু হয়ে উঠেছি।’

শ্রেয়া ধন্বন্তরি

নিজের অভিনয়ভ্রমণ প্রসঙ্গে শ্রেয়া বলেছেন, ‘আমার অভিনয়ের যাত্রা মোটেও সোজা ছিল না। আজও তা নেই। চড়াই-উতরাইয়ে ভরা আমার পথ। তবে এর মধ্যে রাজ ও ডিকে, আর বালকি, হংশল মেহেতার মতো ভালো ভালো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।’ তবে ক্যারিয়ারের গতিপথ বদলে সবচেয়ে বড় ভূমিকা দেখেন নিজের পরিশ্রমের, ‘আজ যে অল্পবিস্তর সফলতার মুখ দেখছি, তা আমার কঠোর পরিশ্রমের জোরে।’

‘চুপ’ ছবিতে শ্রেয়া ধন্বন্তরি ও দুলকার সালমান

ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার এক সুপ্ত বাসনা শ্রেয়ার মধ্যে ছিল। তিনি বলেন, ‘আজ আমি এত বড় বড় পরিচালক, তারকার সঙ্গে ছবি করছি, তা আমার বিশ্বাসই হয় না। ছোট থেকে নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। এই স্বপ্নের কথা দ্বিতীয় কেউ জানত না। নারকেল তেল মেখে স্কুলে যেতাম। চোখে ছিল হাই পাওয়ারের চশমা। এখন আয়নায় নিজেকে দেখে অবাক হয়ে যাই।’ তবে একবার যখন অভিনয়ের জন্য প্রশংসা পাচ্ছেন, তখন বেছে বেছে কাজ করতে মনোযোগী শ্রেয়া, ‘ভালো কনটেন্ট ছাড়া আমি কাজ করি না। একটা প্রজেক্ট শেষ হওয়ার আগেই অপেক্ষা করি পরবর্তী প্রজেক্টের।’ আগামী দিনে ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’, ‘গানস অ্যান্ড গুলাবস’ ছাড়াও নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে ‘অদ্ভুত’ ছবিতে দেখা যাবে শ্রেয়াকে।