কে না জানে, একেবারে ‘জিরো থেকে হিরো’ হয়েছেন বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার। প্রথম জীবন ছিল খুব দুঃখ-কষ্টের। বর্তমানে শত শত কোটি টাকার মালিক এ বলিউড তারকার রুপালি জগতের যাত্রাও সুখকর ছিল না। কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে অভিনেতাকে। সাফল্যের পর অনেকে অতিথি ভুলে গেলেও অক্ষয় মনে রেখেছেন সেসব দিন। অকপটে দিনগুলো নিয়ে কথা বলেন সংগ্রামের দিনগুলো নিয়ে। শৈশবে পরিবারের সঙ্গে মুম্বাইয়ে ৫০০ রুপির একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন অক্ষয়। বাড়িটি ঘিরে রয়েছে তাঁর শৈশবের স্মৃতি। এবার শৈশবে সেই বাড়িটি কেনার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
রণবীর এলাহাবাদিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছেন, বাবার স্মৃতিবিজড়িত শৈশবের সেই বাড়িটি কেনার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
অভিনেতা বলেন, ‘শৈশবের বাড়িটিতে যেতে আমার খুব ভালো লাগে। মাত্র ৫০০ রুপিতে সেখানে ভাড়া থাকতাম আমরা। কদিন আগেই সেই বাড়িটা নাকি ভেঙে ফেলার খবর এল। বাড়িটি ভেঙে দুই বেডরুমের ফ্ল্যাট তৈরি হচ্ছে সেখানে। তৃতীয় তলাটা কেনার ইচ্ছার কথা তাদের জানিয়েছি।’
অক্ষয় আরও বলেন, ‘ওখানে এখন আমাদের কেউ থাকে না। কিন্তু তবু ফ্ল্যাটটা আমি কিনতে চাই। আমার এখনো মনে আছে, বাবা সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করতেন, আমি আর আমার বোন বাবার ফিরে আসার অপেক্ষা করতাম। সেই স্মৃতিগুলো এখনো চোখে ভাসে। সেখানে একটা পেয়ারাগাছ ছিল, আমরা ফল পেড়ে খেতাম। আমি এখনো প্রতি মাসে সেখান থেকে কিছু পেয়ারা ও ফুল আনতে যাই। মন থেকে বলছি, জায়গাটার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাই। সেখান থেকেই তো আমি উঠে এসেছি।’
মুক্তির অপেক্ষায় আছে আলী আব্বাস জাফর পরিচালিত অক্ষয় কুমার এবং টাইগার শ্রফ অভিনীত বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া। ২০২৪ সালের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত সিনেমাটির ট্রেলারে নজর কেড়েছে। বাস্তবে অক্ষয় ও টাইগার দুই অভিনেতাই মার্শাল আর্টে দক্ষ। আর এমন দুই অভিনেতা এমন একটা অ্যাকশন প্যাকড সিনেমাতে দেখার অপেক্ষায় উন্মুখ দর্শকেরা।
অক্ষয় কুমারের আসল নাম রাজীব হরি ওম ভাটিয়া। ক্যারিয়ারের শুরু দিকে কলকাতায় চাকরি করতেন অক্ষয় কুমার।
ছোটবেলায় তিনি নাচ ও মার্শাল আর্টের ওপর দক্ষতা অর্জন করেন। থাইল্যান্ডে মার্শাল আর্টে উচ্চতর প্রশিক্ষণও নেন। পাশাপাশি সেখানে তিনি হোটেল ম্যানেজমেন্টের ওপর কয়েকটি কোর্স করেন। বেশ কিছুদিন বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় চাকরি করেন। বাংলাদেশের হোটেল পূর্বাণীতেও একসময় চাকরি করেছেন অক্ষয়।
এরপর চাকরি ছেড়ে মুম্বাইতে মার্শাল আর্টের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। সেখানকার এক ছাত্র তাঁকে অভিনয়ে আসার প্রস্তাব দেন। চলচ্চিত্রজগতে শুরুটাও ছিল খুব কষ্টে, ক্যারিয়ারের একটা সময় একটানা ১৬টি ছবি ফ্লপ হয়।