নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় নায়িকা মমতা কুলকার্নিকে হয়তো অনেকেরই মনে আছে। ২০১৬ সালে মাদকদ্রব্য পাচার মামলায় এই নায়িকার নাম জড়িয়ে পড়ে। আট বছরের পুরোনো এই মামলা থেকে অবশেষে নিষ্কৃতি পেয়েছেন মমতা।
১৯৯২ সালে রাজ কুমার ও নানা পাটেকরের ছবি ‘তিরঙ্গা’-র মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু করেন মমতা কুলকার্নি। নব্বইয়ের দশকে ‘করণ অর্জুন’, ‘ওয়াক্ত হামারা হ্যায়’, ‘ক্রান্তিবীর’, ‘সাবছে বড় খিলাড়ি’-র মতো হিট ছবির নায়িকা ছিলেন তিনি।
তবে একসময় রুপালি পর্দা থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন এই নায়িকা। ২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল মাদকদ্রব্য পাচার মামলায় ১০ অভিযুক্তের সঙ্গে মমতার নামও উঠে আসে।
থানে পুলিশের অ্যান্টিনারকোটিকস বিভাগ এদিন দুটি গাড়ি থেকে ২-৩ কেজি ইফেড্রিন আটক করেছিল, যার মূল্য ৮০ লাখ রুপি। অভিনেত্রীর স্বামী ভিকি গোস্বামীকে এই কর্মকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে ধরা হয়। পুলিশের অভিযোগ ছিল যে কেনিয়ার একটি হোটেলে মমতা কুলকার্নি তাঁর সঙ্গী ভিকি এবং অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে এক মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। ২০১৭ সালে আমেরিকার মাদকদ্রব্য প্রবর্তন সংস্থা (ডিইএ) ভিকি গোস্বামীকে গ্রেপ্তার করে।
মমতা কুলকার্নি আদালতের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন যে তাঁকে মাদকদ্রব্য কেলেঙ্কারি মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ২০১৮ সালে এই বলিউড নায়িকা তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক তদন্ত রদ করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন।
মমতার আবেদনে বলা হয়েছিল, ভিকির সঙ্গে মমতার এক বিশেষ সম্পর্ক আছে, শুধু এর ওপর ভিত্তি করে তাঁকে অপরাধী বলা যায় না। বোম্বে হাইকোর্ট মমতা কুলকার্নির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অবশেষে খারিজ করেছেন। আদালত জানিয়েছেন, যথাযথ প্রমাণের অভাবে মমতা কুলকার্নির বিরুদ্ধে আনা এফআইআর রদ করা হলো। মমতার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ আদালতের কাছে পুলিশ পেশ করতে পারেনি। অবশেষে এই মামলা থেকে রেহাই পেলেন মমতা কুলকার্নি।