আল্লু অর্জুন, প্রভাস, হৃতিক রোশনের পর এবার সালমান খানের নায়িকা পূজা হেগড়ে। আগামীকাল মুক্তি পেতে চলেছে সালমান–পূজা জুটির ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’। ফরহাদ সামজী পরিচালিত এ ছবিতে পূজাকে ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’র ভূমিকায় দেখা যাবে। এ উপলক্ষে সম্প্রতি মুম্বাইয়ের মেহেবুব স্টুডিওতে অভিনেত্রী পূজা হেগড়ের সঙ্গে আড্ডায় বসেছিলেন প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধি
আড্ডার শুরুতেই উঠে আসে ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবিতে পূজার অভিনীত চরিত্রের কথা। তিনি বলেন, ‘এটা সালমানের ছবি হলেও আমার চরিত্রটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সালমানের ছবিতে এটাই বিশেষত্ব যে নায়িকাদের অন্য রকমভাবে তুলে ধরা হয়। সব মিলিয়ে আমার অভিজ্ঞতা অন্য রকম আর দুর্দান্ত। আমার অনুভূতি থেকে বলছি যে এই ছবির মাধ্যমে দর্শকের হৃদয়ে আমি জায়গা করে নিতে পারব।’
অভিনেত্রী হিসেবে সব সময় নতুন কিছু শিখতে ভালোবাসেন পূজা। নিজের এই ফিল্মি ভ্রমণে তাবড় তাবড় অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
এই দক্ষিণি তারকা বলেন, ‘আমি সেটে চুপচাপ বসে সবাইকে খেয়াল করি। আর সবার সেরাটা শেখার চেষ্টা করি। প্রতিটা অভিনেতার অভিনয়ের ধারা অন্য রকম। চরিত্রের জন্য তাঁদের প্রস্তুতিপর্ব অন্য রকম। বিজয় থালাপতি সেটে ধীরস্থির। এদিকে রণবীর সিং বারবার মহড়া দিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করেন।’
আর সালমান? ‘সালমানকে নিজের চরিত্রের জন্য সে রকম কোনো প্রস্তুতি নিতে আমি দেখিনি। সেটে এসে নিজের সেরাটা দিতেন। অভিনেতা হিসেবে তিনি অত্যন্ত সাবলীল আর স্বতঃস্ফূর্ত। আর সেটে একদম খোশমেজাজে থাকতেন। মানুষ হিসেবে সালমান দারুণ খাঁটি।’
বলিউড মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কাজ করা তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা পাওনা বলে মনে করেন পূজা। সম্প্রতি এক পানীয়র বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা।
বিগ বির প্রসঙ্গ উঠতে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘জানেন, শুটিংয়ের দিন বাড়ি থেকে বারবার ফোন আসছিল। আমি মিস্টার বচ্চনের সঙ্গে দেখা করেছি কি না জানতে চাইছিল সবাই। আমার বাড়ির লোক, বন্ধুবান্ধব এটা নিয়ে রীতিমতো রোমাঞ্চিত ছিল। এদিকে আমার তো ভয়ে হাত–পা ঠান্ডা। ঘাবড়ে ছিলাম। তবে তিনি আমাকে স্বাভাবিক করে দিয়েছিলেন। আর হৃদয়ের দিক থেকে আজও তিনি তরুণ।’
দক্ষিণে একাধিক সুপার হিট ছবি উপহার দিয়েছেন পূজা। বলিউডে তাঁর সে অর্থে হিট ছবি নেই। তাঁর অভিনীত শেষ হিন্দি ছবি সার্কাস বক্স অফিসে ফ্লপ। এ প্রসঙ্গ উঠতে পূজা বলেন, ‘অনেক কালজয়ী ছবি আছে, যার বক্স অফিস রেকর্ড ভালো না। দর্শক সেই সব ছবি তখন গ্রহণ করেননি। কিন্তু পরে সেই সব ছবি প্রশংসিত হয়েছে। তাই বক্স অফিস দিয়ে একটা ছবির সফলতাকে সব সময় বিচার করা ঠিক নয়।
অনেক সময় দেখা যায়, কোনো ছবি বক্স অফিসে দারুণ সফলতা পেয়েছে। অথচ সেই ছবির কনটেন্ট ভালো নয়। তবে ছবি ফ্লপ হলে নিশ্চয় কষ্ট হয়। একটা ছবি আমার কাছে সন্তানের মতো। অনেক হিট ছবি আমি দিয়েছি। তাই দু-একটা ছবি ফ্লপ হলে দরজা বন্ধ করে চোখের পানি ফেলি না।’
তিনি বলেন, ‘আমার কোনো ছবি ফ্লপ হলেও আমি দেখি যে দর্শকের হৃদয়ে আমি জায়গা করে নিতে পেরেছি কি না। দর্শক আমাকে পছন্দ করলে, এটা আমার জন্য বড় কথা। আমি চাই আমার দর্শকের মুখে হাসি ফোটাতে। আর তাদের মনোরঞ্জন করতে।’