স্ত্রী শাবানার সঙ্গে মনোজ। ফেসবুক থেকে
স্ত্রী শাবানার সঙ্গে মনোজ। ফেসবুক থেকে

‘লজ্জায় স্ত্রীর মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছিল, ও গ্রামে চলে যেতে চেয়েছিল’

শাবানা রাজাকে বিয়ে করে তাঁর সঙ্গে সুখে সংসার করছেন অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী। শাবানা অভিনয় ছাড়লেও, স্ত্রীই তাঁর অভিনয়ের সবচেয়ে বড় সমালোচক, এমনটাই মনে করেন অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী। সম্প্রতি দ্য লালানটপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনোজ স্মৃতির সরণি বেয়ে অতীতে ফিরে গিয়ে জানিয়েছেন, শাবানা রাজা কীভাবে তাঁর সেরা ছবি, খারাপ ছবি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন।

সাক্ষাৎকারে মনোজ জানান, তাঁর স্ত্রী শাবানার সঙ্গে প্রায়দিনই তর্ক-বিতর্ক লেগে থাকে। মনোজের কথায়, ‘শাবানার অভিযোগ, আমি ওর সঙ্গে কোনো দিনই ছবির চিত্রনাট্য শেয়ার করি না। আসলে আমি শাবানাকে চমকে দিতেই পছন্দ করি।

চমকে দেওয়ার পর ওর প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকি। আমার কাছে শাবানার প্রশংসা ও সমালোচনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ওর সঙ্গে চিত্রনাট্য শেয়ার করি না। এটা নিয়ে ওর অনেক অভিযোগ। এ নিয়ে আমাদের মারামারিও হয়েছে।’

নির্মাতা হংসল মেহতার সম্পাদনা কক্ষে স্ত্রী শাবানা রাজাকে তাঁর অভিনীত ‘আলিগড়’ ছবিটি দেখানোর ঘটনাও জানিয়েছেন অভিনেতা।

স্ত্রী, সন্তানের সঙ্গে মনোজ বাজপেয়ী। ইনস্টাগ্রাম থেকে

মনোজ জানান, যখন শাবানা ছবি দেখছিলেন, তখন তিনি আর পরিচালক কথা বলছিলেন। ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘আমি যখন ভেতরে গিয়েছিলাম, তখন ছবিটি সবে শেষ হয়েছে।

আমি প্রশ্ন করি, “এটা কি শেষ হয়ে গিয়েছে?” শাবানা আমার দিকে তাকালও না, সোজা বেরিয়ে গেল। চারতলা থেকে নেমে একটা অটো নিয়ে বাড়ি চলে গেল। বাড়িতে গিয়ে ও অনেক কেঁদেছে। তাই আমি ওর এ ধরনের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকি।’
এখানেই শেষ নয়, ‘এটা কী রকম বাজে কাজ’, মনোজের ছবি দেখে এমন প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন শাবানা। ছবির নাম না উল্লেখ করে মনোজ বলেন, তাঁর স্ত্রী সেদিন খুব বিরক্ত হয়েছিলেন। শাবানা তাঁকে ডেকে বলেছিলেন, ‘আমি তোমার কাছে অনেক কিছু আশা করি। নিজের জীবনে এমন কোনো কাজ করবে না, যেটা থেকে আমাকে লজ্জা পেতে হয়।’

স্ত্রী, সন্তানের সঙ্গে মনোজ বাজপেয়ী। ইনস্টাগ্রাম থেকে

মনোজ আরও বলেন, ‘সেবার বিরক্ত শাবানা বলেছিল, “আমরা দিল্লি যেতে পারি বা আমরা তোমার গ্রামে ফিরে যেতে পারি, সেখানে গিয়ে থাকতে পারি। কিন্তু আমি এ ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি চাই না।” আসলে লজ্জায় আমার স্ত্রীর মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছিল, ও গ্রামে চলে যেতে চেয়েছিল।’