বাঙালি কন্যা মৌনি রায়ের ক্যারিয়ার ১৬ বছরের। কিন্তু এত দিন ধরে একই ইমেজে বাঁধা পড়ে ছিলেন তিনি। একটি সিনেমা তাঁর চিরাচরিত ইমেজ বদলে দিয়েছে বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মৌনি।
বহুল জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল ‘কিউ কি সাস ভি কাভি বহু থি’-এর মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু করেছিলেন মৌনি। এরপর ‘নাগিন’, ‘সতী’, ‘মহাদেব’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে।
এসব ধারাবাহিকে তাঁকে দেখা গিয়েছিল শাড়ি পরা সাদাসিধে ভারতীয় নারী হিসেবে। এমনকি অক্ষয় কুমারের গোল্ড ছবিতেও একই বেশে ধরা দিয়েছিলেন মৌনি। এই বলিউড নায়িকা জানিয়েছেন, অয়ন মুখার্জির ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিটি তাঁর ক্যারিয়ারের মোড় অনেকটা ঘুরিয়ে দিয়েছে।
তবে শুধু ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নয়, সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজ সুলতান অব দিল্লিও তাঁকে নতুন পরিচয় দিয়েছে বলে মনে করেন অভিনেত্রী। মিলন লুথারিয়া পরিচালিত এই সিরিজে মৌনিকে ক্যাবারে ড্যান্সার হিসেবে দেখা গেছে। এ রকম এক ব্যতিক্রমী চরিত্রে সুযোগ দেওয়ার জন্য পরিচালককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক সাক্ষাৎকারে মৌনি বলেছেন, ‘“ব্রহ্মাস্ত্র” একদম আলাদা ছিল।
“গোল্ড”, “র”, “মেড ইন চায়না” এই ছবিগুলোয় আমি পুরোপুরি ভারতীয় নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। মিলন স্যার আমাকে ক্যাবারে ড্যান্সার নয়নতারা হিসেবে ভেবেছিলেন। এর আগে “ব্রহ্মাস্ত্র” ছবিটিও মুক্তি পায়নি। আমি ক্যারিয়ারের এক রোমাঞ্চকর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে নির্মাতারা আমাকে অন্য ধারার চরিত্রে কল্পনা করছেন। এমন সব চরিত্র পর্দায় তুলে ধরতে পেরে আমি সত্যিই নিজেকে ভাগ্যবতী বলে মনে করছি।’
সাক্ষাৎকারে এই বলিউড অভিনেত্রী আরও বলেছেন, ‘“সুলতান অব দিল্লি” সিরিজের নয়নতারা চরিত্রটি করার জন্য আমি অধীর অপেক্ষায় ছিলাম। এই চরিত্রের মধ্যে অনেকগুলো স্তর ছিল। মিলন স্যার অভিনেতাদের খুব ভালোভাবে অনুভব করতে পারেন। অভিনেতারা যাতে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেন, সে জন্য তিনি পূর্ণ স্বাধীনতা দেন।’
‘ব্রহ্মাস্ত্র’ প্রসঙ্গে মৌনি আরও বলেছেন, ‘এই ছবির জুনুন চরিত্রটি আমার ক্যারিয়ারকে ইতিবাচক মোড় দিয়েছে। এই ছবির পর দর্শক আমাকে অন্যভাবে দেখতে শুরু করেছেন।’ অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি মনে করি না “ব্রহ্মাস্ত্র” করেই আমি থেমে যাব। প্রায় ১৬ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। আমি কখনো থামিনি। আমি মনে করি, এটাই আমাকে সবকিছু শিখিয়েছে। এই ফিল্মি ভ্রমণ থেকে আরও অনেক কিছু শিখতে চাই।’