জিয়া খান
জিয়া খান

১০ বছর পর বলিউড তারকা জিয়া খানের অপমৃত্যুর মামলার রায়

আজ শুক্রবার সকাল থেকে বলিউডে সবার মনোযোগ ছিল অভিনেত্রী জিয়া খান আত্মহত্যার মামলার দিকে। অবশেষে আদালতের রায় এল সামনে। এই মামলার মূল অভিযুক্ত জিয়ার প্রেমিক অভিনেতা সুরজ পাঞ্চালি বেকসুর খালাস পেলেন। অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে পাঞ্চালি পরিবার।
১০ বছর পর বোধ হয় এবার শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন সুরজ পাঞ্চালি। ১০ বছর ধরে তাঁর মাথার ওপর ঝুলছিল এই মামলা। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের রায় অনুযায়ী আজ তিনি নির্দোষ। আজ সকাল থেকে সিবিআই আদালত চত্বরে টান টান উত্তেজনা ছিল। শেষমেশ জিয়া খান আত্মহত্যার মামলার রায় কী হতে চলেছে, তা নিয়ে ছিল উৎকণ্ঠা।

বেলা ১১টা নাগাদ এই মামলার মূল অভিযুক্ত সুরজ তাঁর মা জারিনা ওয়াহাবকে সঙ্গে করে মুম্বাইয়ের সিবিআই বিশেষ আদালতে পৌঁছান। গাড়ি থেকে নামতেই পাপারাজ্জিরা তাঁদের ঘিরে ধরেছিলেন। অভিনেত্রী জারিনা ওয়াহাব পাপারাজ্জিদের উদ্দেশে বলেন যে তাঁর ছেলে সম্পূর্ণ নির্দোষ।

সুরজ পাঞ্চালি

অবশেষে দুপুর সাড়ে ১২টার পর আদালত তাঁর রায় শোনান। আর সেই রায় অনুযায়ী এই মামলার মূল অভিযুক্ত সুরজ পাঞ্চালিকে নির্দোষ বলে ছেড়ে দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ের পর সুরজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি ইনস্টা স্টোরিতে এক ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘সত্যের সব সময় জয় হয়’।

অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যুর ১০ বছর পার হয়ে গেছে। ২০১৩ সালের ৩ জুন জুহুতে নিজের বাসায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন ২৫ বছরের এই অভিনেত্রী। প্রেমিক সুরজ পাঞ্চালির দিকে অভিযোগ উঠেছিল যে তিনি জিয়াকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করেছেন।

জিয়া খান

জিয়ার মা রাবিয়া খান অভিযোগ এনেছিলেন যে সুরজ তাঁর মেয়ের ওপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করতেন। এমনকি রাবিয়ার অভিযোগ ছিল যে সুরজ জিয়াকে হত্যা করেছেন। তাই তাঁর মতে এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়।

জিয়া খান

রাবিয়া সুরজের বিরুদ্ধে মুম্বাই আদালতে মামলা করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সুরজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে পরে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চালির ছেলে সুরজ। পরে সিবিআইকে এই আত্মহত্যার মামলার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে ১০ বছর পর এই মামলার নিষ্পত্তি হলো। আজ আদালত সুরজকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করল।