‘লাহোর ১৯৪৭’ দিয়ে প্রায় ছয় বছর পর আবার অভিনয়ে ফিরছেন প্রীতি জিনতা। কিন্তু এত দিন ছবিতে তাঁকে দেখা যায়নি। এই প্রসঙ্গে ডিডি ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন অভিনেত্রী।
‘ভাইয়াজি সুপারহিট’ সিনেমার পর প্রায় ছয় বছর অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছিলেন প্রীতি।
এই বিরতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আর সিনেমা করতে চাইনি। ব্যবসা ও ব্যক্তিগত জীবনের দিকেই মন দিতে চেয়েছিলাম। নারীরা অভিনয় করলেও সময় যে থেমে থাকে না, এটা অনেকেই ভুলে যান। আমি ইন্ডাস্ট্রিতে কারও সঙ্গে প্রেম করিনি। সব সময় পরিবারকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করে এসেছি।
শুধু কাজ, অন্যের জীবন নিয়ে মাতামাতি করে, ডেট করে অনেকেই নিজের জীবনটাই বাঁচতে ভুলে যান। কিন্তু আমি সন্তান চেয়েছিলাম। পাশাপাশি ব্যবসাও আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবটা মিলিয়ে আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে বেশি মনোযোগী হতে চেয়েছিলাম। কেবল একজন ভালো অভিনেত্রী হয়ে পুরো জীবনটা একাকিত্বে কাটাতে চাইনি।’
একই সাক্ষাৎকারে প্রীতি আরও বলেন, ‘যেসব নারী কাজ করেন তাঁদের সবাইকে বলতে শুনেছি, আমি সমতা চাই, আমি একজন পুরুষের মতো কঠোর পরিশ্রম করতে চাই। প্রকৃতি আমাদের সেই সমতার পথে বড় অন্তরায়। কারণ, মেয়েদের একটা “বায়োলজিক্যাল ক্লক” রয়েছে। তাই প্রকৃতির কাছে হার মানতেই হবে, যে কাজ করছেন, সেখানে কিছুটা সময় বিরতি দিয়ে ব্যক্তিগত জীবনে গুরুত্ব দিতে হবে। এখন আমার বাচ্চারা আড়াই বছরের হয়েছে, তাই আমি আবার কাজে ফিরেছি। আমি কাজ ভালোবাসি, কিন্তু বাচ্চাদের ছেড়ে কাজ করতে গেলে এত অপরাধবোধে ভুগতাম, বারবার মনে হতো যে সময়টা হারিয়ে ফেলছি, তা আর ফিরে পাব না।’
প্রীতি আরও জানান, অভিনয়ে আসার আগে তিনি গত ছয় বছর ধরে অনেক চিত্রনাট্য পড়েছেন, কিন্তু ‘লাহোর ১৯৪৭’- এর মতো এত আকর্ষণীয় চিত্রনাট্য তিনি পাননি। এই পিরিয়ড ড্রামা পরিচালনা করেছেন রাজকুমার সন্তোষী। এতে প্রীতির বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যাবে সানি দেওলকে। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন আমির খান। প্রীতি এখন রয়েছেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে।