‘ফাইটার’–এ হৃতিক ও দীপিকা। ছবি : ইনস্টাগ্রাম থেকে
‘ফাইটার’–এ হৃতিক ও দীপিকা। ছবি : ইনস্টাগ্রাম থেকে

মধ্যপ্রাচ্যে নিষিদ্ধ: দ্বিতীয় চেষ্টাতেও ব্যর্থ হৃতিক ও দীপিকার ‘ফাইটার’

গত ২৫ জানুয়ারি ভারতসহ সারা দুনিয়ায় মুক্তি পায় সিদ্ধার্থ আনন্দের সিনেমা ‘ফাইটার’। তবে এর মধ্যে একটা ‘কিন্তু’ আছে। বেশ কয়েকটি কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ নিষিদ্ধ করে হৃতিক রোশন ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত সিনেমাটিকে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে সিনেমাটি মুক্তি দিতে মারিয়া প্রযোজকেরা। তাই ‘ফাইটার’-এর একটি ‘পরিমার্জিত সংস্করণ’ পাঠানো হয়েছিল। তাতেও কাজ হয়নি। বলিউড হাঙ্গামা জানিয়েছে, এ সংস্করণটিও মুক্তির উপযোগী নয় বলে জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেন্সর বোর্ড।

গত বছর সিদ্ধান্ত আনন্দের সিনেমা ‘পাঠান’ বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। কিন্তু চলতি বছর মুক্তি পাওয়া পরিচালকের সিনেমাটি সেভাবে ব্যবসা করতে পারছে না।

‘ফাইটার’ সিনেমায় দেখা যাবে দীপিকা, হৃতিক ও অনিল কাপুরকে। ছবি : এক্স থেকে

তাই প্রযোজক ও পরিচালকেরা চেয়েছিলেন আরও বেশ সংখ্যক দেশে মুক্তি দিতে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে। কারণ, অনেক প্রবাসী ভারতীয় থাকার সুবাদে অনেক দিন ধরেই হিন্দি সিনেমার বড় বাজার মধ্যপ্রাচ্য।

সে জন্যই তড়িঘড়ি করে সিনেমাটির একটি ‘পরিমার্জিত সংস্করণ’ প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু সেটাও মুক্তির অনুমোদন পায়নি। বলিউড হাঙ্গামা জানাচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে মুক্তি দিতে না পারায় প্রায় ২০ লাখ ডলার ক্ষতি হবে প্রযোজকের।

যদিও কী কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সিনেমাটি মুক্তির অনুমোদন দিচ্ছে না, সেটা স্পষ্ট নয়। কোনো কোনো গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে, সিনেমাটি ‘পাকিস্তান বিদ্বেষ’ থাকার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশগুলো। কেউ আবার বলছে দীপিকা পাড়ুকোন ও হৃতিক রোশনের অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলোই মধ্যপ্রাচ্যে ‘ফাইটার’ মুক্তির বড় বাধা। এ নিয়ে নির্মাতা বা প্রযোজনা সংস্থার আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ সিনেমায় জঙ্গি হামলার হাত থেকে দেশ বাঁচাতে ও শত্রু হামলার বদলা নিতে বিমানবাহিনীর একদল অকুতোভয় যোদ্ধার প্রাণপণ লড়াই দেখানো হয়েছে। সিনেমায় ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও বিমানঘাঁটির সত্যিকারের ভিডিও ব্যবহার করেছেন আনন্দ।
মুক্তির পর থেকে সিনেমাটি মাত্র দেড় শ কোটি রুপির কাছাকাছি আয় করেছে। হৃতিক রোশন ও দীপিকা পাড়ুকোন ছাড়াও ‘ফাইটার’-এ আছেন অনিল কাপুর।