‘অ্যানিমেল’ ছবির পোস্টারে রণবীর কাপুর ও তৃপ্তি। ইনস্টাগ্রাম থেকে
‘অ্যানিমেল’ ছবির পোস্টারে রণবীর কাপুর ও তৃপ্তি। ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘অ্যানিমেল’ নিয়ে তীব্র সমালোচনা, প্রথমবার মুখ খুললেন রণবীর

রণবীর কাপুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেই। গণমাধ্যমেও সাক্ষাৎকারে দেন কালেভদ্রে। তাই গত বছর তাঁর অভিনীত, সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা পরিচালিত ‘অ্যানিমেল’ সিনেমাটি নিয়ে যখন তীব্র সমালোচনা চলছে, অভিনেতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অবশেষে নিখিল কামাথের ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রণবীর। ‘অ্যানিমেল’ নিয়ে সমালোচনা ছাড়াও কথা বলেছেন নানা প্রসঙ্গে।

আমি তাঁদের সঙ্গে একমত নই, তবে জীবনের এই পর্যায়ে এসে কারও সঙ্গে বিতর্কে জড়াতে চাইনি। আমার কাজ যদি পছন্দ না হয়, তাহলে দুঃখ প্রকাশ করে এটাই বলতে পারি, পরের বার আরও ভালোভাবে চেষ্টা করব।
রণবীর কাপুর

‘অ্যানিমেল’ ব্যাপকভাবে ব্যবসায়িক সাফল্য পেলেও সিনেমাটিকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেন সমালোচকেরা। জাভেদ আখতার, কঙ্গনা রৌনতসহ বলিউডের অনেক অভিনয়শিল্পী, নির্মাতারও সিনেমাটির সমালোচনায় মুখর ছিলেন।

রণবীর কাপুর। এএফপি

সাক্ষাৎকারে রণবীর বলেছেন, এসব সমালোচনা তাঁর ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে। অভিনেতা মনে করেন, ‘অ্যানিমেল’ নিয়ে অনেকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।

রণবীরের ভাষ্যে, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্য কিছু একটা দরকার হয়। যখন আপনি একটি সিনেমাকে “নারীবিদ্বেষী” তকমা লাগিয়ে দেন, তখন সব পরিশ্রম বৃথা হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে সন্দীপ যেহেতু আগে “কবীর সিং” বানিয়েছেন, সে সিনেমাটিও এমন সমালোচনার শিকার হয়; ফলে এবার বিষয়টি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে।’

‘অ্যানিমেল’ সিনেমায় রণবীর কাপুর

‘অ্যানিমেল’কে ‘নারীবিদ্বেষী’ তকমা দেওয়ায় নিজের হতাশা প্রকাশ করে রণবীর আরও বলেন, ‘এটা সত্যি না (নারীবিদ্বেষী), সাধারণ দর্শক সিনেমাটি পছন্দ করেছেন। তবে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর বলেছেন, “তোমার সিনেমাটি করা উচিত হয়নি। তোমার এ সিদ্ধান্ত আমাদের হতাশ করেছে।” সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই এ কথা বলেছেন। আমি তাঁদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছি, এমনটা আর হবে না। আমি তাঁদের সঙ্গে একমত নই, তবে জীবনের এই পর্যায়ে এসে কারও সঙ্গে বিতর্কে জড়াতে চাইনি। আমার কাজ যদি পছন্দ না হয়, তাহলে দুঃখ প্রকাশ করে এটাই বলতে পারি, পরের বার আরও ভালোভাবে চেষ্টা করব।’

‘অ্যানিমেল’ এখন ভারতের সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমার একটি। তবে এ সিনেমায় অভিনয়ের আগে রণবীর কিছুটা ভয়ে ছিলেন।

রণবীর কাপুর

কারণ, তাঁর পরিচিতি রোমান্টিক তারকা হিসেবে। এ সিনেমা মুক্তির পর তাঁর ‘ব্যাড বয়’ ইমেজ দর্শক কীভাবে নেবেন, সেটা নিয়েও চিন্তায় ছিলেন বলে জানান রণবীর।

অভিনেতার ভাষ্যে, ‘আমি বরবারই বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। সামাজিক বার্তা আছে, এমন সিনেমা করেছি, গুড বয় চরিত্র করেছি, রোমান্টিক চরিত্র করেছি; কিন্তু এটা ছিল খুবই সাহসী চরিত্র।

ভয়ে ছিলাম, দর্শক হয়তো আমাকে গ্রহণ করবেন না। কিন্তু মুক্তির পর দেখলাম, দর্শকেরা অনেক আগ্রহ নিয়ে ছবিটি দেখছেন।’