ফ্লপ দিয়ে বলিউড ক্যারিয়ার শুরু। এক ‘বেরেলি কি বরফি’ দিয়েই কৃতি শ্যাননের ক্যারিয়ার গ্রাফ বদলে যায়। ‘মিমি’ ছবিতে অন্তঃসত্ত্বা নারীর চরিত্রে তাঁর অভিনয় নিয়ে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন আলিয়া ভাটসহ অনেক বলিউড সহকর্মী। ‘মিমি’র সাফল্যের পর থেকেই একের পর এক বড় বাজেটের ছবিতে যুক্ত হচ্ছেন অভিনেত্রী। যার মধ্যে একটি ‘আদিপুরুষ’। এই প্যান ইন্ডিয়া ছবিতে কৃতির সঙ্গী দক্ষিণি তারকা প্রভাস। অভিনয় করতে গিয়ে কেবল পর্দায় নয়, সেটের বাইরেও দারুণ এক রসায়ন তৈরি হয়েছে অভিনেত্রীর। এর আগেও ‘বাহুবলী’ অভিনেতা সম্পর্কে কথা বলেছিলেন কৃতি। এবার জানালেন প্রভাসের চোখ নিয়ে মুগ্ধতার কথা।
আগে এক সাক্ষাৎকারে কৃতি জানিয়েছিলেন, প্রভাস আপাদমস্তক ভোজনরসিক এক মানুষ। কেবল খেতে নন, খাওয়াতেও যে সমান ভালোবাসেন প্রভাস। কেবল কৃতি নন, অমিতাভ বচ্চন, কারিনা কাপুর খান, শ্রদ্ধা কাপুরসহ অনেকেই প্রভাসের আতিথেয়তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তবে আতিথেয়তায় নয়, কৃতি মজেছেন প্রভাসের দুই চোখের জাদুতে। এক সাক্ষাৎকারে এই বলিউড অভিনেত্রী বলেছেন, ‘প্রভাস এমনই এক তারকা, যার সঙ্গে আমি আবার কাজ করতে চাইব। সত্যি বলতে, তার সঙ্গে দারুণ মজা করে কাজ করেছি। প্রভাসের বাড়ির খাবারের গুণগান আগেই গেয়েছি। এ ছাড়া তাঁর চোখ নিয়ে বিশেষভাবে বলতেই হবে। প্রভাসের চোখে এক অদ্ভুত পবিত্রতা আছে।’
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে কৃতি আরও বলেন, ‘সে যখন ক্লোজ শট দেয়, তখন চোখ দিয়ে অভিনয়ের প্রয়োজন পড়ে না। অথচ প্রভাসের চোখে তার অন্তরের সব অনুভূতি ধরা পড়ে। যাদের চোখ অভিব্যক্তিপূর্ণ, প্রভাস তাদের একজন। তার দুই চোখ গভীর আর শুদ্ধতায় পরিপূর্ণ। চোখে অদ্ভুত এক সততা আছে। আর তাই সে প্রকৃত ‘আদিপুরুষ’ হয়ে উঠতে পেরেছে।’
‘আদিপুরুষ’ ছবিতে প্রভাস ও কৃতির জুটিকে প্রথম পর্দায় দেখা যাবে। রামায়ণ মহাকাব্যের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই পৌরাণিক ড্রামা ছবিতে প্রভাস রাম আর কৃতি অভিনয় করেছেন সীতার চরিত্রে। রাবণের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাইফ আলী খান।
‘আদিপুরুষ’ ছাড়াও সামনে কৃতিকে দেখা যাবে ‘শেহজাদা’ ছবিতে, যেখানে তাঁর সহকর্মী কার্তিক আরিয়ান। এরপর একে একে মুক্তি পাবে ‘ভেড়িয়া’, ‘গণপথ’ ও অনুরাগ কশ্যপের নাম ঠিক না হওয়া ছবি।