এবার কাঁদালেন জুনিয়র মেহমুদ, ক্যানসারে মৃত্যু অভিনেতার

প্রকৃত নাম নাঈম সৈয়দ হলেও এই অভিনেতা জুনিয়র মেহমুদ নামেই পরিচিত ছিলেন
এএনআই

পর্দায় যখনই এসেছেন, দর্শক হাসিয়েছেন তিনি। প্রকৃত নাম নাঈম সৈয়দ হলেও এই অভিনেতা জুনিয়র মেহমুদ নামেই পরিচিত ছিলেন। ১৯৬৭ সালে ‘নাউনিহাল’ সিনেমায় শিশু অভিনেতা হিসেবে বিনোদনজগতে যাত্রা। শিশু কৌতুকাভিনেতা হিসেবে শুরু থেকেই জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন। নাঈমের চলাফেরা বা কথাবার্তায় বলিউডের বিখ্যাত কৌতুকাভিনেতা মেহমুদের সঙ্গে হুবহু মিল ছিল। মেহমুদই ‘জুনিয়র মেহমুদ’ নাম দেন নাঈমকে। কৌতুকাভিনেতা হিসেবে দেশ–বিদেশে বহু অনুষ্ঠান করেছেন। সারা জীবন দর্শক হাসানো এই অভিনেতা এবার কাঁদিয়ে চলে গেলেন না–ফেরার দেশে। গতকাল মধ্যরাতে নিজের বাসায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন ৬৭ বছর বয়সী এই অভিনেতা (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত হিন্দি ছায়াছবির দুনিয়া। আজ দুপুরে মুম্বাই জুহু গার্ডেনের কাছে জুহু কবরস্থানে জুনিয়র মেহমুদকে দাফন করা হবে।

পাকস্থলীর ক্যানসারে ভুগছিলেন জুনিয়র মেহমুদ। তাঁর ক্যানসার চতুর্থ স্টেজে পৌঁছে গিয়েছিল। মুম্বাইয়ের পারেলের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে মেহমুদের চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ফিরলেন না, ক্যানসার কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ। মৃত্যুর পর তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী লতা আর দুই পুত্রসন্তানকে। কিছুদিন আগে মেহমুদকে দেখতে গিয়েছিলেন বলিউডের অত্যন্ত জনপ্রিয় কৌতুকশিল্পী জনি লিভার। এই দুই কৌতুকশিল্পীর সাক্ষাতের ভিডিও নেট–দুনিয়া ছেয়ে গিয়েছিল।

গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে না হলেও তাঁর অভিনয়ের জীবনযাত্রা বেশ দীর্ঘ

জুনিয়র মেহমুদের ছেলে হুসনাইন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘আমরা ১৮ দিন আগে জানতে পারি, বাবা ক্যানসারে আক্রান্ত এবং তা চতুর্থ পর্যায়ে। আমরা তাঁকে টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার ডিন আমাদের বলেছিলেন, এই পর্যায়ে চিকিৎসা ও কেমোথেরাপি খুব বেদনাদায়ক হবে। হাসপাতাল থেকে আমাদের বাড়িতেই তাঁর যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।’ জুনিয়র মেহমুদের মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তাঁকে নানাভাবে স্মরণ করছেন নেটিজেনরা। স্মরণ করেছেন অনেক সহশিল্পীও।

অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি মারাঠি ছবি পরিচালনা করেছিলেন নাঈম। সঞ্জীব কুমারের ‘নাউনিহাল’ ছবির মাধ্যমে জুনিয়র মেহমুদ যখন ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। অবশ্য এর আরও আগে ১৯৬৬ সালে  ‘মহব্বত জিন্দেগি হ্যায়’ সিনেমায়ও তাঁর অংশগ্রহণ ছিল।

জুনিয়র মেহমুদ নামেই পরিচিত ছিলেন

কেন্দ্রীয় বা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে না হলেও তাঁর অভিনয়ের জীবনযাত্রা বেশ দীর্ঘ। ৫ দশকের অভিনয়জীবনে ২৫০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। ‘মেরা নাম জোকার’, ‘পরওয়ারিস’, ‘সংঘর্ষ’, ‘ব্রহ্মচারী’, ‘দো রাস্তে’, ‘কটি পতঙ্গ’, ‘হাথি মেরে সাথি’, ‘হঙ্গামা’, ‘ছোটি বহু’সহ নানা হিট ছবিতে কাজ করেছেন এই অভিনেতা। তাঁকে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে রাজেশ খান্না আর গোবিন্দার ছবিতে।