পাশের বাড়ির আদুরে ও দুষ্টু-মিষ্টি মেয়ের ইমেজ এখন পুরোপুরি ভেঙে ফেলেছেন বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। গত কয়েকটি ছবিতে তাঁকে ব্যতিক্রমী চরিত্রে দেখা গেছে। পরিণীতি মনে করেন যে তাঁর জীবনে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার পরিণীতি অভিনীত ‘কোড নেম: তিরঙ্গা’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে এই বলিউড নায়িকা বলেছেন, ‘গত কয়েকটা ছবিতে সবাই আমাকে ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছে। আমার পেশাগত জীবনে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। এই অধ্যায়ের নাম দিয়েছি পরিণীতি ২.০ সংস্করণ।’
পরিণীতিকে এর আগে ‘সন্দীপ অউর পিঙ্কি ফারার’, ‘দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন’, ‘সাইনা’র মতো ছবিতে দেখা গেছে। এগুলোর কোনোটিই বক্স অফিসে সেভাবে সাফল্য পায়নি। তবে ওটিটিতে দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সন্দীপ অউর পিঙ্কি ফারার’ মুক্তির পর সন্দীপ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন পরিণীতি। এ প্রসঙ্গে ৩৩ বছরের এই অভিনেত্রী বলেছেন, ‘গত তিনটা ছবি যদি না চলত বা দর্শক আমাকে সেই সব চরিত্রে প্রত্যাখ্যান করতেন, তাহলে বুঝতাম যে দর্শক আমাকে দেখতে চাইছেন না।’
বক্স অফিস প্রসঙ্গে পরিণীতি বলেন, ‘আমি কোনো ছবির সফলতা বক্স অফিস কালেকশন বা ওটিটির ভিউয়ারশিপ দিয়ে মাপি না। কোনো ছবি দর্শকের হৃদয় স্পর্শ করতে পারল কি না, সেটাই আমার কাছে গুরুত্ব পায়। আমি এখন বিশ্বাস করি যে ভালো ছবি ঠিকই সফলতা পায়। যদিও এই বিশ্বাস আমার আগে ছিল না।’
পরিণীতিকে আগামী দিনে সুরজ বরজাতিয়া ও ইমতিয়াজ আলীর মতো পরিচালকের ছবিতে দেখা যাবে। ‘আমি সব সময় এই পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছি। সুরজ বরজাতিয়া আমাকে যখন ফোন করেছিলেন আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। আমি ভেবেছিলাম তিনি ভুল করে আমার নম্বর ডায়াল করেছেন। তবে তাঁদের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়ে আমি খুব খুশি,’ বললেন এই তারকা।
ঋভু দাশগুপ্ত পরিচালিত ‘কোড নেম: তিরঙ্গা’ ছবিতে পরিণীতিকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এজেন্টের ভূমিকায় দেখা গেছে। এই ছবিতে তাঁর অ্যাকশন দৃশ্য নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ আলোচনা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পরিণীতি বলেছেন, ‘এর আগে একাধিক রোমান্টিক-কমেডি ছবিতে কাজ করেছি আমি। পাঁচ বছর ধরে আমার স্বপ্ন ছিল যে অ্যাকশন ছবিতে কাজ করব। আমার বিশ্বাস ছিল যে অ্যাকশন ছবির সঙ্গে আমি যথাযথ পারফরম্যান্স দেখাতে পারব। আমি শুধু একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। সামনে আরেকটা অ্যাকশনধর্মী ছবিতে কাজ করছি। আমি অ্যাকশন নায়িকা হিসেবে পরিচিত হতে চাই।’