হাসিমুখ। তবে ক্লান্তির ছাপও স্পষ্ট। হুইলচেয়ারে করে ক্রিটি কেয়ার হাসপাতালের বাইরে বের হলেন বলিউডের ‘হিরো নম্বর ওয়ান’ গোবিন্দ। এরপর গাড়িতে চেপে সোজা বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলেন তিনি।
অবশেষে আজ শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ। গত মঙ্গলবার কাকভোরে পায়ে গুলি লেগে মারাত্মক আহত হয়েছিলেন তিনি। তারপর অভিনেতাকে আন্ধেরির ক্রিটি কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার গোবিন্দর স্ত্রী সুনীতা জানিয়েছিলেন যে আজ অভিনেতাকে ডিসচার্জ দেওয়া হবে। আজ দুপুরেই তাঁকে ডিসচার্জ করা হয়েছে। গোবিন্দকে হাসপাতালের বাইরে হুইলচেয়ারে বসে দেখা গেছে। তাঁর পাশে ছিলেন স্ত্রী সুনীতা এবং মেয়ে টিনা। হাত জোড় করে সবার উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
হাসপাতালের বাইরে উপস্থিত সাংবাদিকদের গোবিন্দ বলেন, ‘যাঁরা যাঁরা আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন, আমি তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। পুলিশ বিভাগ আর আদরণীয় শিন্ডে সাহাবকেও (মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে) ধন্যবাদ জানাতে চাই। সব শ্রেণির মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের কারণেই আমি নিরাপদে আছি।’
মঙ্গলবার ভোর ৪টা ৪৫ মিনিট নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। গোবিন্দ কলকাতায় যাওয়ার বিমান ধরার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন। তখন তিনি তাঁর লাইসেন্স করা বন্দুকটি আলমারির ড্রয়ারে রাখতে গিয়েছিলেন।
গোবিন্দর হাত পিছলে বন্দুকটি মাটিতে পড়ে যায়। আর তখন ‘মিস ফায়ার’ হয়ে অভিনেতার বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে গুলি লাগে। গোবিন্দর পা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে ক্রিটি কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অপারেশন করে গোবিন্দর পা থেকে গুলি বের করা হয়েছে। এই সময়ে তাঁর স্ত্রী সুনীতা কলকাতায় ছিলেন। মেয়ে টিনা গোবিন্দর পাশে সারাক্ষণ ছিলেন। গুলি–কাণ্ডের খবর পেয়ে কলকাতা থেকে চলে এসেছিলেন সুনীতা।
গোবিন্দকে দেখতে রাভিনা ট্যান্ডন, শিল্পা শেঠি, ডেভিড ধাওয়ান, রাজপাল যাদব, শত্রুঘ্ন সিনহা, জ্যাকি ভগনানিসহ অনেক বিটাউন তারকা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এদিকে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ এ দুর্ঘটনার তদন্ত করছে। গোবিন্দর বন্দুক তারা বাজেয়াপ্ত করেছে। এ দুর্ঘটনার কোনো এফআইআর করা হয়নি। পুলিশ গোবিন্দর মেয়ে টিনা আহুজার বয়ান রেকর্ড করেছে। জানা গেছে, এই অভিনেতার বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে ৮-১০টি সেলাই পড়েছে।
গতকাল গোবিন্দর ব্যবস্থাপক শশী সিনহা জানিয়েছিলেন যে চিকিৎসক কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলেছেন। আর পায়ে বিন্দুমাত্র জোর দিতে বারণ করেছেন চিকিৎসক।