নিজের পানাসক্তি নিয়ে তিনি অনেকবারই কথা বলেছেন। মদের নেশার কারণে কীভাবে তাঁর পারিবারিক ও পেশাগত জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটাও জানিয়েছেন অনুরাগ কশ্যপ। এবার ভারতের এ সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই পরিচালক জানালেন, বিষণ্নতায় ভোগার কথা। এ–ও জানালেন, নিজের কঠিন সময়ে কাদের পাশে পেয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম জুমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত জীবনের কঠিন সত্য অকপটে স্বীকার করেন অনুরাগ। জানান, একটা সময় অবসাদে ভুগেছেন তিনি। মদের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন।
জীবনের সেই কঠিন পরিস্থিতি থেকে তাঁকে রক্ষা করেছেন মেয়ে আলেয়া কশ্যপ, নির্মাতা অনুভব সিনহা ও সুধীর মিশ্র এবং অভিনয়শিল্পী তাপসী পান্নু, নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীরা।
অনুরাগ জানান, মেয়ে আলেয়া তাঁকে মানসিক শান্তির জন্য থেরাপির পরামর্শ দিতেন। নির্মাতার ভাষ্যে, ‘আলেয়া আমার ত্রাতা। ঠিক সেই রকমই কঠিন সময়ে আমি পাশে পেয়েছি জীবনসঙ্গী ও বন্ধুদের। নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী রোজ মেসেজ করে আমার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতেন। তাপসী পান্নুও ফোন করে জিজ্ঞাসা করতেন, “বেঁচে আছেন তো? সবকিছু কেমন চলছে?”’
অনুভব সিনহার কথা বলতে গিয়ে অনুরাগ বলেন, ‘অনুভব তো আমার কড়া নজর রাখতেন। খেয়াল রাখতেন, আমি কতটা মদ্যপান করছি বা সিগারেট খাচ্ছি।
যখনই অনুভব আমার বাড়ি আসতেন, তখনই মেয়ে আর ও দুজনে মিলে মদের বোতলগুলো ফেলে দিতেন।’
সুধীর মিশ্র সম্পর্কে অনুরাগ বলেন, ‘সুধীর তো আমাকে সুস্থ করে তুলতে নিজের রাস্তাই পরিবর্তন করে ফেললেন। আমার জীবনে এমন অনেক মানুষ আছে তাঁদের প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ। বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে, ইশিকা সব সময় আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।’
কী কারণে অবসাদে চলে গিয়েছিলেন অনুরাগ? সে কথাও সাক্ষাৎকারে বলেছেন পরিচালক। তিনি বলেন, ‘নানা বিষয়ে আমার মেয়ে আলেয়াকে নিয়ে যখন ট্রল করা শুরু হয়, তখনই মানসিক অবসাদে চলে যাই। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। তখন নিজেকে ঠিক রাখতে মদ্যপান করি। পরে সেটাই মারাত্মক আকার ধারণ করে।’