১৪ বছর বয়সে অভিনয়জীবন শুরু করেছিলেন সঞ্জনা সাংঘি। ইদানীং ‘ধক ধক’ ও ‘কড়ক সিং’ ছবির কারণে চর্চায় এই অভিনেত্রী। ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে এসেও সঞ্জনা বেশ নামডাক করেছেন। সম্প্রতি তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বহিরাগত হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা।
বহিরাগত হিসেবে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার প্রসঙ্গে চলচ্চিত্রবিষয়ক সাময়িকী ফিল্মফেয়ার-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জনা বলেন, ‘অ্যাথলেটদের নিশ্চয় ট্র্যাকের মধ্যে দৌড়াতে দেখেছেন।
যেসব অ্যাথলেট ভেতরের ট্র্যাকে দৌড়ান, তাঁরা তাড়াতাড়ি লক্ষ্যে পৌঁছান।
আর যাঁরা বাইরের ট্র্যাকে দৌড়ান, তাঁদের জন্য পথটা দীর্ঘ হয়। কিন্তু তাঁরাও লক্ষ্যে পৌঁছান। ইন্ডাস্ট্রি এভাবেই চলে। সবাই একই রেসে ছুটছে; কারও জন্য পথটা ছোট, কারও জন্য একটু দীর্ঘ। ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত হলে চলবে না। হাল ছাড়লে চলবে না।’
এ বলিউড অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘প্রথমে আমি ভাবতাম যে কঠোর পরিশ্রম করলেই জীবনে সাফল্য পাওয়া যাবে। মুম্বাইতে শুরুর দিনগুলোর কথা এখনো মনে আছে। তখনই বুঝেছি, এ পথ সহজ নয়। একটা ছবির জন্য আপনি নিজেকে সম্পূর্ণ উজাড় করে দিলেই যে ছবিটি বক্স অফিসে ভালো চলবে তা নয়। দর্শক যে ছবিটি বা আপনার পারফরম্যান্স পছন্দ করবে, তার কোনো মানে নেই।
আমি যা শিখেছি তা হলো, ক্রমাগত দরজায় কড়া নেড়ে যেতে হবে, দরজা নিশ্চয় খুলবে।’ বলিউড প্রসঙ্গে সঞ্জনা বলেছেন, ‘এই ইন্ডাস্ট্রির সবকিছু আমি ভালোবাসি। তবে আমি বিশ্বাস করি, সিনেমার বাইরেও একটা জীবন আছে। এটা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।’
সঞ্জনাকে শেষ বড় পর্দায় দেখা গেছে তরুণ দুদেজা পরিচালিত ‘ধক ধক’ ছবিতে। তাপসী পান্নু প্রযোজিত এ ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন রত্না পাঠক শাহ, ফাতিমা সানা শেখ ও দিয়া মির্জা।
জি-ফাইভের ‘কড়ক সিং’ ছবিতেও তাঁর অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়েছে। এ ছবির অন্য মূল চরিত্রে ছিলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি, পার্বতী ও জয়া আহসান।