সমালোচকেরা বলছেন, মেয়ে আরাধ্যার জন্যই এত দিন অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কটা টিকে আছে। কিন্তু দাম্পত্য কলহ এখন চরমে উঠেছে। আর কিছুতেই জলসার চার দেয়ালের মধ্যে থাকতে পারছেন না অ্যাশ। তাই নাকি ঘর ছেড়েছেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী।
টাইমস নাও ডিজিটাল মাধ্যমের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পারিবারিক কলহের জেরে ঐশ্বরিয়া জলসার বাইরে পা রেখেছেন। তবে আরাধ্যাকে সঙ্গে নিতে ভোলেননি তিনি। শোনা যাচ্ছে, মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে মায়ের সঙ্গে এখন থেকে থাকবেন ঐশ্বরিয়া।
কয়েক মাস ধরে বচ্চন পরিবারের অন্তঃকলহ নিয়ে সরগরম নেটপাড়া। এই গুঞ্জন আরও চরমে ওঠে, যখন এক অনুষ্ঠানে অভিষেকের আঙুলে বিয়ের আংটি দেখা যায় না। বিয়ের পর থেকে এই আংটি কখনো হাতছাড়া করেননি জুনিয়র বচ্চন। তবে অ্যাশের সঙ্গে বচ্চন পরিবারের বিবাদ প্রকাশ্যে আসে, যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অমিতাভ বচ্চন প্রিয় বউমাকে আনফলো করেন। অ্যাশের সঙ্গে বচ্চন পরিবারের কলহ দীর্ঘদিন ধরেই চলছে।
আর শাশুড়ি জয়া বচ্চনের সঙ্গে একদমই বনিবনা হচ্ছিল না ঐশ্বরিয়ার। এমনকি শাশুড়ি-বউমার মধ্যে দীর্ঘদিন কথাবার্তা বন্ধ বলে জানা গেছে। জনসমক্ষে তাঁরা একে অপরকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলেন। এত দিন শুধু মেয়ে আরাধ্যার মুখ চেয়ে অ্যাশ-অভিষেক বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেননি। একই বাড়িতে থাকলেও অ্যাশের সঙ্গে অভিষেকের দূরত্ব ক্রমে বেড়েই চলেছে। এ খবরও শোনা গেছে, অ্যাশ জলসাতে একা একাই থাকেন। তবে অভিষেক মূলত শাশুড়ি-বউমার লড়াইয়ের মধ্যে ‘ফেঁসে’ গেছেন। তাঁর অবস্থা এখন ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি’, ভক্তরা এমনটাই বলছেন। এদিকে অমিতাভকন্যা শ্বেতা শ্বশুর বাড়ির পাট চুকিয়ে পাকাপাকিভাবে জলসাতে থাকতে শুরু করেছেন। শ্বেতার সঙ্গে তাঁর দুই সন্তান অগস্ত্য আর নব্যাও আছে। শোনা যাচ্ছে যে ননদের সঙ্গে একই ছাদের তলায় থাকা নিয়েও অ্যাশের সমস্যা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই বিগ বি তাঁর আদরের কন্যার নামে ‘প্রতীক্ষা’ বাংলোটি লিখে দিয়েছেন।
এখন অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন আরও তীব্র হলো। তবে সমালোচকেরা মনে করছেন, বচ্চন পরিবারের থেকে দূরে থাকলেও অ্যাশ আইনিভাবে বিচ্ছেদের পথে এগোবেন না। কারণ, বচ্চন পরিবার হাইপ্রোফাইল। আর ঐশ্বরিয়া নামীদামি এক ব্যক্তিত্ব। তাই তাঁরা কেউই নিজেদের ইমেজ খারাপ করতে চাইবেন না।
সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের ‘দ্য আর্চিজ’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনীতে ঐশ্বরিয়াকে সমগ্র বচ্চন পরিবারের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। বচ্চন পরিবার একসঙ্গে এসে সমগ্র দুনিয়াকে হয়তোবা বার্তা দিতে চেয়েছে যে তাদের পারিবারিক ভাঙনের খবর নিছকই গুঞ্জন।
‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’—এ রকমই একটা ভাবমূর্তি তৈরি করতে চেয়েছিল বচ্চন পরিবার। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট হওয়া বিভিন্ন ছবি আর ভিডিওতে কোথাও অ্যাশের সঙ্গে বচ্চন পরিবারের দূরত্ব ধরা পড়েছে।