গত কয়েক বছরে বলিউডে নারীকেন্দ্রিক সিনেমা বেড়েছে। নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রীদের। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তাপসী পান্নু, আলিয়া ভাট থেকে বিদ্যা বালান। তাঁদেরও নানা বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে। এবার সুযোগ মিলেছে স্বরা ভাস্করের। বলা যায়, তিনি জ্যাকপট পেয়েছেন। নারীকেন্দ্রিক ছবি ‘মিসেস ফলানি’তে তাঁকে নয়টি চরিত্রে দেখা যাবে। মনীশ কিশোর পরিচালিত ছবিতে সুযোগ পেয়ে খুশিতে ভাসছেন স্বরা।
সাধারণত বিতর্কিত মন্তব্য করে নেট দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দেন স্বরা। স্পষ্ট কথা বলে অনেকেরই চক্ষুশূল হয়ে উঠেছেন তিনি। তবে কাজ দিয়ে খবরে উঠে এসেছেন তিনি।
মনীশ কিশোর ও মধুকর ভার্মার আগামী ছবির চুক্তিপত্রে সই করেছেন। ছবির মূল নায়িকা স্বরা। মনীশ জানিয়েছেন, মিসেস ফলানির গল্প শোনামাত্রই স্বরা রাজি হয়েছেন। গল্প তাঁর ভীষণ পছন্দ হয়েছে। মনীশ বলেছেন, ‘মিসেস ফলানি’তে নয়টি আলাদা আলাদা গল্প আছে। প্রতিটি গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রে স্বরাকে দেখা যাবে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, স্বরা অভিনীত নয়টি চরিত্র একটির চেয়ে অন্যটি একেবারেই আলাদা।
স্বরা নিত্যনতুন চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরতে পছন্দ করেন। মিসেস ফলানিতে সুযোগ পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি, ‘এখন পর্যন্ত যে কটি ছবি করেছি, প্রতিটিতেই নানা ধরনের চরিত্রে নিজেকে আবিষ্কার করেছি। কিন্তু স্বপ্নেও কল্পনা করিনি, একই ছবিতে নয়টি ভিন্ন চরিত্রে সুযোগ পাব। আমার বিশ্বাস, ভিন্ন স্বাদের চরিত্রগুলোর মাধ্যমে ভক্তদের চমকে দেব।’
মিসেস ফলানি ছোট শহরের পটভূমিতে নির্মিত। মুম্বাই, দিল্লির মতো বড় শহরের বাইরে ভারতের ছোট শহরগুলোর মেয়েদের স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ নিয়ে ছবির গল্প। ছবিতে স্বরাকে দেখা যাবে ৩৫ থেকে ৪৫ বছরের বিবাহিত নারীর চরিত্রে। কয়েকটি গল্পে ১০ থেকে ১৫ বছরের কিশোরের মায়ের চরিত্রেও অভিনয় করবেন। সমাজ ও পরিবারের চাপে ছোট শহরের মেয়েরা কীভাবে নিজেদের স্বপ্নগুলো গলা টিপে মেরে ফেলেন, সেটাই ছবিতে দেখানো হয়েছে। ছবির গল্প লিখেছেন শ্বেতা রুবি।
কিছুদিন আগে স্বরাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। স্পিড পোস্টের মাধ্যমে তাঁকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে এই অভিনেত্রী ভারসোবা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ তদন্তের কিনারা হয়নি।