তিন সন্তান নিয়ে এ আর রাহমান
তিন সন্তান নিয়ে এ আর রাহমান

মা-বাবার বিচ্ছেদ, এ আর রাহমানের সন্তানদের আকুল আবেদন...

ভেঙে যেতে চলেছে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী এ আর রাহমান ও সায়রা বানুর ২৯ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক। তাঁদের বিচ্ছেদের খবরে নেট–দুনিয়ায় ‘হুলুস্থুল’ পড়ে গেছে। মা–বাবার বিবাহবিচ্ছেদকে ঘিরে তাঁদের তিন সন্তান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে বিয়ের প্রায় তিন দশক পার হওয়ার পর সায়রা বানু তাঁর স্বামী এ আর রাহমানের থেকে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সায়রার জন্য কঠিন ছিল। এদিকে এ আর রাহমান টুইট করে জানিয়েছেন যে এই বিচ্ছেদের কারণে তাঁর হৃদয় চূর্ণবিচূর্ণ।

বড় মেয়ের বিয়ের আসরের এ ছবিটি শেয়ার করেছিলেন এ আর রাহমান

অস্কারজয়ী এই সংগীতশিল্পী আশা করেছিলেন যে বিয়ের ৩০ বছর পূর্ণ করে ফেলবেন, কিন্তু এমনটা ঘটল না। বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ আর রাহমান ও সায়রা বানুর পোস্টকে ঘিরে সবার মনমরা। বৈবাহিক সম্পর্কে চাপা উত্তেজনা চলছিল এবং বনিবনা না হওয়ার কারণেই বিচ্ছেদ বলা হচ্ছে।
এ আর রাহমান ও সায়রা বানু ১৯৯৫ সালে বিয়ে করেছিলেন। এ আর রাহমান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন মায়ের পছন্দের মেয়েকে চুপচাপ বিয়ে করেছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে তাঁর পছন্দ-অপছন্দ কিছু ছিল না। বিয়ের পর এই দম্পতি দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের মা–বাবা। তাঁদের তিন সন্তানের নাম খাদিজা, রহিমা ও আমিন।
কন্যা রহিমা ইনস্টাগ্রামে বাবার পোস্টকে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’এর পাশাপাশি রাহমান-কন্যা তামিল ভাষায় তাঁর মা-বাবার গোপনীয়তাকে সম্মান করার জন্য আবেদন করেছেন।

বিয়ের দিন এ আর রাহমান ও সায়রা বানু। ইনস্টাগ্রাম থেকে

আর রহিমা এ কথাও বলেছেন, ‘এটা ওদের ব্যক্তিগত বিষয়।’ আমিন ও খাদিজা প্রায় একই ধরনের এক পোস্ট করেছেন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে আমিন লিখেছেন, ‘আমরা সবাইকে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করার জন্য আবেদন করছি। আপনারা তা উপলব্ধি করছেন তার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’ খাদিজা এক পোস্টে লিখেছেন, ‘এই বিষয়টিকে যদি একদম গোপনীয়তা ও ব্যক্তিগতভাবে দেখা হয়, তাহলে তা প্রশংসা পাবে।’

এ আর রাহমান ও সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ধোঁকার কারণেই সব সময় তারকাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়, তা ঠিক নয়, জরুরি নয়। একে অপরের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে অনেক সময় সম্পর্ক ভেঙে যায়। আবার অনেক সময় স্বামী-স্ত্রীর মা-বাবা, ভাই-বোন বা অন্য কোনো আত্মীয়ের কারণে তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক প্রভাবিত হয়।